শম্ভু চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে দুয়ারে সরকারের আবেদনপত্র পূরণ করাচ্ছেন শ্রীরামপুর পুরসভার আধিকারিকরা। নিজস্ব চিত্র।
যেন যথার্থ দুয়ারে সরকার। পাড়ায় পাড়ায় শিবির চলছে। সেই সব শিবিরে যাঁরা যেতে পারছেন না অর্থাৎ শারীরিক ভাবে অক্ষম, অসুস্থ এমন ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করাচ্ছেন শ্রীরামপুর পুরসভার আধিকারিকরা।
সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দিতে দুয়ারে সরকারের দ্বিতীয় পর্যায়ের শিবির শুরু হয়েছে। ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের আবদেন করতে ভিড় উপচে পড়ছে শিবিরগুলিতে। ভোর থেকে লাইন পড়ছে। ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। কিন্তু এমন অনেকেই আছেন যাঁরা লাইনে দাঁড়িয়ে আবেদনপত্র তোলা বা জমা দিতে পারছেন না, তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছেন সরকারি আধিকারিকরা।
শুক্রবার শ্রীরামপুর পুরসভার ২৭ নং ওয়ার্ডের কমিউনিটি হলে দুয়ারে সরকার শিবির হল। পুরসভার পাঁচটি ওয়ার্ডের কয়েক হাজার মানুষ সেখানে লাইন দিয়েছিলেন। প্রভাস নগর নয়ঘর কলোনির শম্ভু চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী শীলা চট্টোপাধ্যায় দু’জনেই দৃষ্টিহীন। বিষয়টি পুরসভার আধিকারিকদের জানান ২৭ নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর পিন্টু নাগ। খবর পাওয়া মাত্রই শ্রীরামপুর পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার ভাস্কর পাল এক আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের আবেদনপত্র পূরণ এবং জমা করার ব্যবস্থা করেন।
ভাস্কর বলেন, “দুয়ারে সরকার-এর শিবিরে যেতে পারেননি একশ শতাংশ দৃষ্টিহীন শম্ভু বাবু। উনি মানবিক প্রকল্প পাবেন ওঁর স্ত্রী লক্ষ্মী ভাণ্ডার পাবেন। দু’জনের ফর্ম রেজিস্ট্রেশন করিয়ে দেওয়া হল। আমরা শিবির থেকেই সেই ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। কারও পক্ষে শিবিরে আসা সম্ভব না হলে আবেদন করলেই তাঁর বাড়িতে গিয়ে ফর্ম পূরণ এবং জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
শম্ভু বলেন, “আমার কাছে এটা অকল্পনীয়। আগের বার শুনেছিলাম রাত তিনটে থেকে লাইন দিতে হয়। আমার বাড়িতে এসেছেন অফিসাররা, তার জন্য কৃতজ্ঞ।”