নিহত সুমন মাঝি। নিজস্ব চিত্র
বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে ছিলেন। পরে তাঁকেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এর পর হাসপাতালে মৃত্যু। আর এ নিয়েই রহস্য দানা বাঁধছে হুগলির চন্দননগরের সুরেরপুকুর এলাকায়। পুলিশ ওই যুবকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্তও। তবে ওই বন্ধুর ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে বাইক নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন চন্দননগরের সুরেরপুকুর এলাকার বাসিন্দা সুমন মাঝি (২৬) এবং তাঁর বন্ধু হাবুল খাঁ। সুমনের পরিবার জানিয়েছে, বুধবার রাতে সে বাড়ি ফেরেনি। সুমনের মা অন্নদা মাঝির কথায়, ‘‘আমি ছেলেকে ফোন করি। বলি, বাড়ি ফিরে আসতে। তবে আমি পর দিন জানতে পারি, সুমন চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি।’’ হাসপাতালে পৌঁছে সুমনের পরিবারের লোকজন দেখতে পান, তার অবস্থা গুরুতর। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন। পা ভেঙে গিয়েছে। পেটেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
সুমনকে বৃহস্পতিবার ভদ্রেশ্বরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতায়। কিন্তু পথে মৃত্যু হয় সুমনের। নিহতের পরিবারের দাবি, সুমন বাইক চালাতে ভালবাসত। এর আগে সে কয়েক বার বাইক চালিয়ে বাইরেও গিয়েছিল। সেই সুমন দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন, তা মানতে চাইছেন না তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সুমনের বাবা সলিল মাঝির অভিযোগ, ‘‘আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। সুমন এবং তার বন্ধু হাবুল পানশালায় গিয়ে মদ্যপান করেছিল। হাবুল এই ঘটনার পর কোনও যোগাযোগ করেনি। আমাদের বাড়িতেও কোনও খবর দেয়নি। এমনকি আমাদের বাড়িতে ওর যে বাইকটা পড়ে আছে তা-ও নিতে আসেনি।’’
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, দুর্ঘটনার জেরেই সুমনের মৃত্যু হয়েছে। তবে অন্যান্য দিকগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।