অভিযান হুগলি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের। নিজস্ব চিত্র।
কালোবাজারির অভিযোগ পেয়ে সারের দোকানে অভিযান চালালো হুগলি জেলার কৃষি দফতর। মঙ্গলবার অভিযানের সময় তিন সার ব্যবসায়ী সার বিক্রির হিসেব দিতে পারেননি। সে জন্য তাঁদের শোকজও করা হয়েছে। শোকজের জবাব দিতে পারলে বাতিল হতে পারে ওই ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স। সারের কালোবাজারির অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানেও অভিযান চালায় কৃষি দফতরের আধিকারিকরা।
ধান উঠে যাওয়ার পরই জমিতে আলুচাষের প্রস্তুতি নেন কৃষকরা। তার জন্য রাসায়নিক সারও ব্যবহার করা হয়। হুগলি জেলার কৃষকদের একাংশ অভিযোগ করেন, চাহিদার সুযোগ নিয়ে বেশি দাম নিচ্ছেন সার বিক্রেতারা। সারের যা দাম তার থেকে বস্তা প্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। সারের দামের প্রতিবাদে সোমবার হুগলির গোঘাটে প্রতিবাদ বিক্ষোভও করা হয়েছিল।
তার পরই সক্রিয় হল হুগলি জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা শাসক (জেলা পরিষদ) শান্তনু বালা, কৃষি উপ অধিকার্তা জয়ন্ত পাড়ুই, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী-সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা বিভিন্ন সারের দোকানে ঘুরে ঘুরে স্টক মেলান, কত দামে বিক্রি হচ্ছে তা দেখেন। আগামী দিনে এ রকম অভিযান আরও চলবে বলে জানানো হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে।
সারের কালোবাজারির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পূর্ব বর্ধমানের কৃষি দফতরও মঙ্গলবার থেকে অভিযান শুরু করেছে। অন্যান্য বছরের মতো এ বারও আলু চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকরা। কিন্তু সার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মেমারি, জামালপুর, রায়না, আউশগ্রাম-সহ বিভিন্ন ব্লকের কৃষকরা। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণও করেছেন। সেই মতো মঙ্গলবার অভিযান চালায় কৃষি দফতর।