গেটের সামনে শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলছে। নিজস্ব চিত্র
কর্তৃপক্ষের তরফে বুধবার তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হল শ্রীরামপুরের রাজ্যধরপুরের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের বেল্ট তৈরির একটি বেসরকারি কারখানায়। বিনা নোটিসে কারখানা বন্ধ করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে শ্রমিকেরা গেটের সামনে সকাল ১০টা থেকে দু’ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখান। কারখানা খোলারও দাবি ওঠে।
সাতঘরার ওই কারখানায় গত বছরের গোড়াতেও মোট ৬০ জন শ্রমিক ছিলেন। তার মধ্যে ২৮ জন স্থায়ী। গত এপ্রিল মাস থেকে অস্থায়ীদের ছাঁটাই করা শুরু হয় বলে শ্রমিকদের অভিযোগ। তাঁরা জানান, তারপর থেকে কারখানা কোনও মতে চলছিল। এ দিন সকালে কাজে এসে কারখানার গেটে তালা ঝুলতে দেখে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
শ্রমিকদের দাবি, মালিক ব্যক্তিগত কারণে কারখানা চালাতে চাইছেননা। কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে সন্তোষ শর্মার দাবি, ‘‘একমাস আগেই নির্দিষ্ট দিন ও কারণ উল্লেখ করে কারখানার বন্ধের নোটিস দেওয়া হয়। সেই নোটিস কারখানার ভিতরে এখনও টাঙানো আছে। শ্রমিকেরা সঠিক কথা বলছেন না।’’ তবে ওই নোটিসে কী আছে, তা জানাতে চাননি সন্তোষ।
শ্রমিকদের দাবি, দুপুরে তাঁরা শ্রীরামপুরের উপ-শ্রম কমিশনার (পার্সোনাল) সঙ্গীতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি আগামী ৬ মার্চ ত্রিপাক্ষিক আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু শ্রীরামপুরের উপ-শ্রম কমিশনার (পার্সোনাল) এমন কোনও সাক্ষাৎ বা আশ্বাসের কথা মানেননি। তিনি জানান, কারখানা বন্ধের খবর তাঁর কাছে নেই।
শ্রমিকদের পক্ষে সুধীন্দ্র মুখোপাধ্যায় এবং রাজু দাস বলেন, ‘‘অবিলম্বে সব বকেয়া মিটিয়ে, সব শ্রমিককে নিয়ে ফের কারখানা চালু করতে হবে। মালিক ব্যক্তিগত কারণে কারখানা বন্ধ করতে চাইছেন।’’
এ দিনের বিক্ষোভে সিটুও শামিল হয়েছিল। সিটু-র জেলা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মালিকপক্ষের এই অন্যায়, অত্যাচার আর চলতে দেওয়া যায় না। অবিলম্বে মালিকপক্ষ কারখানা চালু করুক।’’ একই সুরে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা নেতা অণ্বয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মালিকপক্ষের এই তুঘলকি আচরণ কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়। শ্রম দফতরের আধিকারিকের সঙ্গেকথা বলব।’’