দুই মেয়ের সঙ্গে সুজয় এবং তৃণা চন্দ। নিজস্ব চিত্র ।
সদ্যোজাত কন্যা সন্তানকে শোভাযাত্রা করে বাড়ি নিয়ে এলেন বাবা-মা। কন্যা সন্তান নিয়ে সমাজে এখনও নানারকম সংস্কার রয়েছে। শোভাযাত্রার ভাবনা সেই সংস্কারকে বদলাতেই।
কন্যা ভ্রুণ নিয়ে সমাজের অকারণ অনীহাকে বদলাতে চান চুঁচুড়ার সুজয় চন্দ এবং তাঁর স্ত্রী তৃণা চন্দ। এই দম্পতি সম্প্রতিই তাঁদের দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সুজয়ের কথায়, বারবার কন্যা সন্তান জন্মানোকে এই যুগেও সমালোচনার চোখে দেখা হয় সমাজের বিভিন্ন স্তরে। দ্বিতীয়বার কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়া যে পুত্র সন্তানের জন্মের মতোই সমান খুশির সেই বার্তাই দিতে শোভাযাত্রা করে মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা। যাতে তাঁর পরিবার, পাড়া প্রতিবেশীরা বুঝতে পারেন দ্বিতীয় কন্যা সন্তান হওয়াতে তাঁরা বিন্দুমাত্র অখুশি নন। বরং তাঁরা সুখী।
চুঁচুড়া কারবালা মোড়ের শুভপল্লীর বাসিন্দা সুজয় ও তৃনার দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের জন্ম হয় গত ১৫ ই মে। নার্সিংহোম থেকে শুক্রবারই ছুটি হয় মা এবং সদ্যোজাতর। তাঁদের বাড়ি আনতেই সকাল থেকে সাজ সাজ রব, ঢাক আর বাজনা বাজিয়ে শোভাযাত্রা করে নিয়ে যাওয়া হয়, গাড়ি সাজানো হয় বেলুন কার্টুনের চরিত্রদের ছবি দিয়ে। বাজনার তালে পরিবার, পরিজন, পড়শিরা নাচতে নাচতে সামিল হন শোভাযাত্রায়। মিস্টি মুখও করানো হয় সবাইকে।
সুজয় বলেন,আমার প্রথম সন্তান মেয়ে দ্বিতীয় সন্তানও মেয়ে। প্রথম মেয়ের জন্মের সময় মেলা বসিয়েছিলাম। এ বার শোভাযাত্রা করলাম। আমি বলতে চাই আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যেন কেউ ছেলে মেয়ের বিভেদ না করেন।
পিসি প্রতিমা ঘোষ বলেন, ‘‘মেয়ে হয়েছে বলেই খুব খুশি আমরা। এই উৎসবের কারন সবাই যাতে বোঝে আমরা মেয়ে হওয়ায় কতটা খুশি। ঘরে মেয়ে না থাকলে যেন পরিপূর্ণতা থাকে না। এখন সংসার সামলে সবদিক সামলায় মেয়েরাই।