arrest

Arrest: পুলিশের গাড়ি থেকে পালানো খুনে অভিযুক্ত দুষ্কৃতী গ্রেফতার

৪৫ দিনের লম্বা গরমের ছুটি পড়েছে আগেই। পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে সম্প্রতি আরও ১১দিন ছুটি বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২২ ০৬:৪৬
Share:

গ্রেফতার: শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কৃষ্ণকে। নিজস্ব চিত্র।

‘সুপারি’ নিয়ে এক বৃদ্ধকে খুনের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছিল শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে থাকার সময় হাসপাতাল থেকে নিয়মমাফিক শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে থানায় ফেরার পথে পুলিশের গাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল সে। এক মাস আগের এই ঘটনায় কৃষ্ণ সরকার নামে ওই দুষ্কৃতীকে শুক্রবার ভোরে নদিয়া থেকে ফের গ্রেফতার করল পুলিশ। বছর তিরিশের কৃষ্ণের বাড়ি শ্রীরামপুরের রাজ্যধরপুর পঞ্চায়েতের মাধপাড়ায়।

Advertisement

পুলিশের গাড়ি থেকে পালানোর পরে এলাকার এক কিশোরকে অপহরণের অভিযোগও ওঠে কৃষ্ণের বিরুদ্ধে। এ দিন তার কাছ থেকে ওই কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, খুনের মামলার পাশাপাশি কৃষ্ণের বিরুদ্ধে পুলিশের গাড়ি থেকে পালানো এবং নাবালককে অপহরণের নির্দিষ্ট ধারাতেও মামলা রুজু করা হয়। তিনটি মামলাই চলছে। এ দিন শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে ধৃতকে ৩ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। উদ্ধার করে আনা কিশোরকে বাড়ির লোকের হাতে তুলেদেয় আদালত। এ দিন থানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কৃষ্ণ জানায়, ফাঁসির ভয়ে সে পুলিশের গাড়ি থেকে পালিয়েছিল।

গত ১২ মে শ্রীরামপুরের রাজ্যধরপুর পঞ্চায়েতের ভট্টাচার্য গার্ডেন দাসপাড়ার বাসিন্দা, বছর ষাটেকের গৌতম ওরফে স্বপন দাসের দেহ উদ্ধার হয় স্থানীয় পুকুর থেকে। অভিযোগ, পারিবারিক সম্পত্তির লোভে এক ভাই এবং ভগ্নিপতি মিলে গৌতমকে খুনের ‘সুপারি’ দেয় কৃষ্ণকে। সেই মতো ১১ মে রাতে ওই বৃদ্ধ বাড়ি ফেরার সময় কৃষ্ণ তাঁকে খুন করে দেহ পুকুরে ফেলে দেয়। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিন জনকেই গ্রেফতার করে। পুলিশ হেফাজতে থাকার সময় ১৬ মে কৃষ্ণকে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল পরীক্ষা করিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। মাঝপথে যানজটে পুলিশের গাড়িটি দাঁড়াতেই কৃষ্ণ সেখান থেকে নেমে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

পালালোন পরের দিন ভোরে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নওগাঁ ঘোষালপাড়ায় বছর পনেরোর এক নাবালকের বাড়িতে গিয়ে তাকে ডেকে নিয়ে যায় কৃষ্ণ। ওই কিশোরের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণের মামলা রুজু করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, কৃষ্ণ মোটরভ্যান চালায়। কোনও বাড়ি ভাঙা হলে সেই ‘রাবিশ’ ভ্যানে করে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেয়। ওই কিশোরও তার সঙ্গে একই কাজ করে। ওই কিশোরের বাবা-মা নেই। দাদু-দিদিমার কাছে মানুষ।

চন্দননগর কমিশনারেটের দাবি, সূত্র মারফত খবর মেলে, কৃষ্ণ নদিয়ার ধানতলায় রয়েছে। তদন্তকারী আধিকারিকরা সেখানে গিয়ে শুক্রবার ভোরে তাকে গ্রেফতার করেন। তার কাছ থেকেই ওই কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। তদন্তকারীরা জানান, কৃষ্ণ সেখানে বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত কাজ জুটিয়ে নিয়েছিল। ওই কিশোরকেও সেই কাজে লাগিয়েছিল। আগে কৃষ্ণের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির অভিযোগ ছিল পুলিশের খাতায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement