আব্বাস জানান, ফুরফুরায় তৃণমূল নেতৃত্বকে ঘিরে অশান্তি হলে দায়ী থাকবে তৃণমূলই। —নিজস্ব চিত্র।
৪২ দিন জেলে থাকার পর আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ছাড়া পেয়েছেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে ফুরফুরার বাড়িতে শাসকদলের নেতামন্ত্রীরা আসছেন। যদিও নওশাদের দেখা না পেয়ে ফিরে গিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এই প্রেক্ষিতে মুখ খুললেন আইএসএফের প্রতিষ্ঠাতা তথা ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। তাঁর অভিযোগ, উৎসবের সময় ফুরফুরাকে বদনাম করার চক্রান্ত হতে পারে। তাই হয়তো বারবার শাসকদলের নেতামন্ত্রীরা ফুরফুরায় আসছেন। তাঁর ভাই নওশাদের সঙ্গে দেখা করার অছিলায় ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে বলে মঙ্গলবার সন্দেহ প্রকাশ করেন আব্বাস।
দু’দিন আগেই নওশাদের সঙ্গে দেখা করতে যান পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তবে নওশাদের সঙ্গে দেখা না করেই ফিরতে হয় তাঁকে। এখন ফুরফুরা শরিফে ইসালে সওয়াব (ধর্মীয় অনুষ্ঠান) উপলক্ষে ভিড় হচ্ছে। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন। অন্যান্য বছরের মতো এ বারও পিরজাদাদের সঙ্গে দেখা করতে আসছেন শাসকদলের নেতারা। সূত্রের খবর, নওশাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন অনেকে। কিন্তু ৩ দিনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলাকালীন কোনও নেতামন্ত্রী নওশাদের দেখা করতে আসাকে অন্য ভাবে দেখছেন আব্বাস।
আব্বাসের কথায়, ‘‘শাসকদলের কেউ যদি আসেন তাহলে সুস্থ পরিবেশ নষ্ট করার জন্য আসবেন। নওশাদ সিদ্দিকির সঙ্গে যে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্ষিপ্ত। কেউ (পড়ুন তৃণমূলের) এলে তাঁদের সঙ্গে কোনও মানুষ দুর্ব্যবহার করলে বাংলার মাটিতে ফুরফুরা শরিফের দুর্নাম ছড়িয়ে যাবে। লাখো ভিড়ের মাঝে কেউ যদি ক্ষোভ সামলাতে না পারেন বা তাঁদেরই (শাসকদলের) সাজানো লোক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ফুরফুরা শরিফের বদনাম করতে চেষ্টা করবে।’’
আইএসএফের প্রতিষ্ঠাতা এবং পিরজাদা আরও বলেন, ‘‘নওশাদ মানুষের জন্য রাজনীতি করতে নেমেছে। ধর্মের জন্য নয়। শাসকদল জেনে গিয়েছে মানুষ ওদের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। আর যাঁরা আসছেন, তাঁরা ফুরফুরা শরিফকে বদনাম করতে আসছেন। কিন্তু কোনও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তার জন্য দায়ী তাঁরাই থাকবেন।’’