School Renovation

জীর্ণ ভবন, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ স্কুলে

প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কয়েক দশক আগে ভবনটি নির্মাণের সময় প্রতিবেশী এক পরিবারের সঙ্গে জমিদান সংক্রান্ত বিতর্কের কারণে ওই অংশটির সংস্কার করা যাচ্ছে না।

Advertisement

প্রকাশ পাল

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫ ০৯:৫৭
Share:
ভেঙে পড়ছে চাঙড়। 

ভেঙে পড়ছে চাঙড়। 

কয়েক বছর ধরে নানা ভাবে উদ্যোগী হয়ে স্কুলের প্রতি ছাত্রছাত্রীদের আকর্ষণ বাড়াতে সফল হয়েছেন সিঙ্গুরের পলতাগড় রাধারানি শিক্ষামন্দিরের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ছাত্রছাত্রীদের স্কুলছুট হওয়ার প্রবণতা ঠেকানো গিয়েছে। কিন্তু ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ চিন্তিত। কারণ, বিদ্যালয় ভবনের জীর্ণ দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের পলেস্তারা খসছে। ছাদে, দেওয়ালে ফাটল। বৃষ্টি হলে জল পড়ে। শনিবার রাতে স্কুলে চুরিও হয়েছে।

Advertisement

প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কয়েক দশক আগে ভবনটি নির্মাণের সময় প্রতিবেশী এক পরিবারের সঙ্গে জমিদান সংক্রান্ত বিতর্কের কারণে ওই অংশটির সংস্কার করা যাচ্ছে না। ফলে ঝুঁকি নিয়েই সেখানে পঠনপাঠন বা অন্য কর্মসূচি চালাতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘পরিস্থিতির কথা প্রশাসনের নানা স্তরে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। শীঘ্র কোনও পদক্ষেপ না হলে মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

বিডিও সৌভিক ঘোষাল বলেন, ‘‘ব্লকের বেশ কয়েকটি স্কুলের খারাপ অবস্থার অভিযোগ জমা পড়েছে। তার মধ্যে পলতাগড়ের ওই স্কুলটিও রয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসন তথা যেখানে জানানোর দরকার, জানানো হয়েছে।’’

Advertisement

স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, শনিবার রাতে দুষ্কৃতীরা পাশের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাঁচিল টপকে স্কুলে ঢোকে। হ্যালোজ়েনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। অফিসঘরের ছ’টি আলমারি ও সেগুলির লকার ভাঙে। নগদ বেশ কয়েক হাজার টাকা, সিসি ক্যামেরার দু’টি ‘ডিভিআর’ (ডিজ়িটাল ভিডিয়ো রেকর্ডার) নিয়ে পালায়। প্রধান শিক্ষক জানান, পুলিশ তদন্তে এসেছিল। থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে। খোওয়া যাওয়া টাকা, সামগ্রী উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

প্রধান শিক্ষক জানান, কোভিড-পর্বের পরে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে না আসার প্রবণতা বাড়ছিল। সে কারণে পঠনপাঠনের পাশাপাশি বিতর্ক, সৃষ্টিশীল রচনা, আঁকা, নাচ, গান, আবৃত্তি ইত্যাদি চর্চায় জোর দেওয়া হয়। রিডিং রুমে সংবাদপত্র, কিশোর পত্রিকা পাঠের সুযোগ, স্মার্ট ক্লাস, সিনে ক্লাবের উদ্যোগে প্রতি মাসে সিনেমা দেখানো প্রভৃতি ব্যবস্থাও করা হয়। অনুপস্থিতির হার বেশি বা স্কুলছুট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, এমন পড়ুয়াদের বাড়িতে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা এর কারণ অনুসন্ধান করেন। সমস্যা সমাধানে প্রধান শিক্ষকও পড়ুয়া ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন। এর সুফলও মিলছে বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের। এ বার ছাত্রছাত্রীদের প্রত্যেককে ক্যালেন্ডার দেওয়া হয়েছে সারা বছরের সমস্ত বিষয় সংযুক্ত করে।

স্মার্টফোন ব্যবহারের সুদূরপ্রসারী ক্ষতি বা সাইবার অপরাধ সম্পর্কে ছোটদের বোঝাতে সম্প্রতি কর্মশালা হয় স্কুলে। সাইবার অপরাধের বিভিন্ন খুঁটিনাটি ছাত্রছাত্রীদের বোঝান বোলপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রানা মুখোপাধ্যায়। এর আগে জল সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা এবং পদ্ধতি সম্পর্কে কর্মশালা হয়। প্রোজেক্টরের মাধ্যমে এ ব্যাপারে অবগত করেন সেচ দফতরের এগ্‌জ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার গৌতম অধিকারী।
(তথ্য সহায়তা: দীপঙ্কর দে)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement