কিচেন-গার্ডেন তদারকিতে বিদ্যালয়ের এক কর্মী। নিজস্ব চিত্র
বাজারের আনাজের উপর নির্ভরশীলতা কাটাতে এ বার বিদ্যালয়ের ছ’কাঠা জমিতে চাষ শুরু করলেন বলাগড়ের জিরাট কলোনি হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ। গত ডিসেম্বর মাস থেকে পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়ে কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষিকার উদ্যোগে সেই ‘কিচেন গার্ডেন’-এ ফলছে বেগুন, কুমড়ো, শাক-সহ আরও নানা কিছু। মিড ডে মিলে সেটাই পাতে পড়ছে প্রায় ৬০০ পড়ুয়ার।
সম্প্রতি ওই আনাজ-বাগান পরিদর্শন করে প্রশংসা করেছেন পরিবেশবিদ ও শিশু মনস্তাত্ত্বিক সৌরাংশু ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘তরকারির খোসা, ফেলে দেওয়া অতিরিক্ত খাদ্য দিয়ে জৈব সার তৈরি করে ওই আনাজ বাগানে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা ভাল উদ্যোগ।’’
প্রধান শিক্ষক আবদুল শরিফ শেখ বলেন, ‘‘পড়ুয়ারা যাতে শুধুমাত্র ইঁদুর-দৌড়ে না পড়ে, সেই কারণেই এই বাগান করতে তাদের উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতের জন্য এটা বড় শিক্ষা। আর এই আনাজ ব্যবহারের ফলে মিড ডে মিলের খরচ কমেছে।’’
পড়ুয়ারাও এই আনাজ-বাগান করতে পেরে খুশি। একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী বলে, ‘‘নিজেদের ফলানো ফসল পাতে পড়লে তার স্বাদ অন্য রকম লাগে।’’ নবম শ্রেণির এক ছাত্রের কথায়, ‘‘আমি এখান থেকে শিখে বাড়িতে লঙ্কা, কুমড়ো, শাক চাষ করেছি। আরও অনেক নতুন আনাজ লাগানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।’’
স্কুল সভাপতি পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, তাঁরা পড়ুয়াদের জৈব-সারের উপকারিতা নিয়ে বুঝিয়েছেন। বলাগড়ের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক গৌরব চক্রবর্তী বলেন, ‘‘জিরাট কলোনি হাই স্কুলের এই উদ্যোগ ভাল। অন্যরা এটা অনুসরণ করলে উপকৃত হবে।’’