—প্রতীকী চিত্র।
বাজি মজুত করতে হাওড়ায় কিষাণ মান্ডি ও তার মতো কয়েকটি ফাঁকা জায়গা, যা সরকারি
নজরদারিতে থাকবে, চিহ্নিত করেছেন বাজি ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় অনুমতি চাইবে ‘পশ্চিমবঙ্গ বাজি শিল্প উন্নয়ন সমিতি’। ওই সমিতির তরফে জেলার বাজি ব্যবসায়ী-প্রতিনিধিদের নিয়ে রবিবার হাওড়ার শিয়ালডাঙায় একটি বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কালীপুজোর জন্য কোথায় বাজি তৈরি হবে, কোথায় তা মজুত রাখা হবে এবং কোথায়, কী ভাবে সবুজ বাজি বিক্রি করবেন ব্যবসায়ীরা, সে সব নিয়েও এ দিনের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে ৫০ জনের মতো ব্যবসায়ী-প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। ওই সমিতির তরফে জানানো হয়, নবান্নের এক বৈঠকে রাজ্য সরকার সংগঠনের নেতৃত্বকে বাজি উৎপাদন থেকে বিক্রি পর্যন্ত কী কী নিয়ম আছে, তা জানিয়েছিল। সেগুলিই ব্যবসায়ীদের
এ দিন বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়েছে।
তা ছাড়া সবুজ বাজি কাকে বলে, কী ভাবে এই বাজি মজুত ও বিক্রি করা হবে, তা-ও ব্যবসায়ীদের জানানো হয়। বোঝানো হয় পরিবেশ রক্ষায় এই বাজির প্রয়োজনীয়তার কথা। অনেক সময়েই দেখা যায়, বাড়িতে বাজি মজুত রাখছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে বিস্ফোরক মজুত রাখার অপরাধে পুলিশ হানা দিয়ে বাজেয়াপ্ত করছে সেই বাজি। তাই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কিষাণ মান্ডি ও তার মতো ফাঁকা জায়গা, যেখানে সরকারি নজরদারি থাকবে, সেখানে বাজি মজুত করবেন ব্যবসায়ীরা। হাওড়ায় বাজি বাজার নিয়েও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোচনা হয়। টালার বাজি বাজারকে মডেল হিসেবে ধরে ডুমুরজলায় কী ভাবে বাজি বাজার বসবে এবং স্টল তৈরির জন্য বিদ্যুতের ছাড়পত্র কী ভাবে নেওয়া হবে, তাও আলোচনা হয়।
‘পশ্চিমবঙ্গ বাজি শিল্প উন্নয়ন সমিতি’র সম্পাদক তথা আইনজীবী শুভঙ্কর মান্না বলেন, ‘‘এ দিনের বৈঠকে বাজি উৎপাদন থেকে বিক্রি নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেগুলি প্রস্তাব আকারে গৃহীত হয়েছে। হাওড়ার জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করে প্রস্তাবগুলি তাঁকে দেওয়া হবে। কিষাণ মান্ডির মতো সরকারি নজরদারিতে থাকা অনেকটা ফাঁকা জায়গা গুরুত্ব পাবে। তবে সেখানে বাজি রাখার আগে পরিদর্শন করবে দমকল।’’