হাসিনা বিবির হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন হাওড়া গ্রামীণ তৃণমূলের সভাপতি রাজা সেন। নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটে জেতার পরেই তৃণমূলে যোগ দিলেন হাওড়ার এক কংগ্রেস প্রার্থী। বৃহস্পতিবার বাগনান-১ ব্লকের হাটুরিয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী হাসিনা বিবি শাসক দলে যোগদান করেন। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন হাওড়া গ্রামীণ তৃণমূলের সভাপতি রাজা সেন। কংগ্রেসের টিকিটে জয়ের পর কেন দলত্যাগ, তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে হাসিনার বক্তব্য, কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের জোট তিনি মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারছেন না। তাই শাসকদলের উন্নয়নযজ্ঞে তিনি শামিল হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বাগনানে যোগদান কর্মসূচির আযোজন করেছিল তৃণমূল। সেখানে হাসিনার হাতে জোড়াফুলের পতাকা তুলে দিয়ে রাজা দাবি করেন, ভোটের ফল ঘোষণার দিন, অর্থাৎ মঙ্গলবারই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী। জেলা সভাপতি বলেন, ‘‘গণনার দিন নেতৃত্ব নানা কাজে ব্যস্ত ছিল। তাই ওই দিন হাসিনা বিবিকে দলে যোগদান করানো যায়নি। পরে আমরা রাজ্য নেতৃত্বের অনুমতি নিয়েই তাঁকে দলে নিলাম।’’
হাসিনাও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে, তাতে শামিল হতেই আমি তৃণমূলে যোগ দিলাম। কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে জেতার পর দেখলাম, কংগ্রেস নেতৃত্ব সিপিএমের সঙ্গে জোট করতে চাইছে। এটা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তার প্রতিবাদেই আমি কংগ্রেসের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করলাম।’’
কংগ্রেস নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, হামলা-হুমকির ভয়েই বাধ্য হয়ে শাসকদলে যোগ দিয়েছেন দলীয় প্রার্থী। দলের হাওড়া জেলা সভাপতি পলাশ ভান্ডারি বলেন, ‘‘আতঙ্কে তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছেন হাসিনা। তাঁর বাড়িতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। তার পরেই হাসিনা ভয়ে তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য হন।’’