প্রতীকী ছবি।
বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুদের জন্য এই প্রথম সরকারি পরিষেবা কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে হাওড়ায়। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সহযোগিতায় ওই কেন্দ্রটি চালু করতে চলেছে হাওড়া পুরসভা। নতুন বছরের শুরুতেই পুরসভার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের দালালপুকুরে একটি তেতলা বাড়িতে এই কেন্দ্র চালু হবে। ওই বাড়িটি পুরসভারই, তবে বর্তমানে ব্যবহার হয় না। পরিষেবা কেন্দ্র চালু করার জন্য বাড়িটির সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার তেতলা ওই ভবন পরিদর্শন করেন হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী-সহ পদস্থ পুর আধিকারিকেরা।
পরে চেয়ারপার্সন জানান, যে সব শিশুর অটিজ়ম, ডাউন সিন্ড্রোম, সেরিব্রাল পলসি রয়েছে, তাদের এই পরিষেবা কেন্দ্রে ন্যূনতম খরচে ফিজ়িয়োথেরাপি, স্পিচ থেরাপি, কাউন্সেলিং, অকুপেশনাল থেরাপি করা হবে। এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক এবং থেরাপিস্টরা এসে ওই পরিষেবা দেবেন। সুজয় বলেন, ‘‘এই কেন্দ্র চালু হলে বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুদের অভিভাবকেরা অনেকটাই স্বস্তি পাবেন। বেসরকারি জায়গায় এই ধরনের থেরাপি করাতে গেলে যে মোটা অঙ্কের বিল হয়, তা এখানে হবে না।’’
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিষেবা কেন্দ্রটির পরিচালনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন হাওড়া পুরসভার কর্তারা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম-সহ এসএসকেএম হাসপাতালের কর্তাদের। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকও। কারণ, এই পরিষেবা চালুর ক্ষেত্রে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ ভূমিকা থাকবে।
চেয়ারপার্সন আরও জানান, দালালপুকুরে পুরসভার ওই তেতলা বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা পড়ে আছে। বাড়িটির অবস্থান রাস্তার ধারে। তা দেখেই সেখানে পরিষেবা কেন্দ্রটি চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই কেন্দ্রে মনোবিদ এবং ফিজ়িয়োথেরাপিস্টরা আসবেন এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে। এর জন্য ওই হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে পুরসভার। এর পাশাপাশি পরিষেবা কেন্দ্রে থাকবে স্কুল ও খেলার জায়গা। প্রায় আট কাঠা জমির উপরে ওই বাড়িটির সংস্কার ও পরিষেবা কেন্দ্র চালু করতে ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। সুজয় বলেন, ‘‘বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুদের ফিজ়িয়োথেরাপি করতে বেসরকারি কেন্দ্রে যেখানে প্রায় ১২০০ টাকা খরচ হয়, সেখানে এই কেন্দ্রে তা মিলবে ২০০ টাকায়। এতে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা অনেক অভিভাবক উপকৃত হবেন।’’