দেবনারায়ণ দত্ত। নিজস্ব চিত্র।
ভাড়াটে সেজে এক বৃদ্ধ দম্পতির হাত-মুখ বেঁধে লুঠপাট চালাল চার সশস্ত্র দুষ্কৃতী। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির ব্যান্ডেলের বিক্রম নগরে।
রাত তখন আটটা। হঠাৎই কলিং বেলটা বেজে উঠেছিল। কে এসেছে তা দেখতে দরজা খুলেছিলেন দেবনারায়ণ দত্ত। দরজা খুলতেই তিনি দেখেন চার জন দাঁড়িয়ে আছে। কী প্রয়োজন দেবনারায়ণ জানতে চাইলে তারা জানায় ঘরভাড়া খুঁজছে। দেওয়ালে ঘরভাড়ার বিজ্ঞাপন দেখেই এসেছে। দেবনারায়ণ তাদের জানিয়ে দেন, এখন কথা বলা যাবে না। এ বিষয়ে সকালে কথা বলতে হবে। কিন্তু নাছোড় ওই চার জন দেবনারায়ণকে বলে, ‘সকালে আমাদের কাজ থাকে, তাই একটু সমস্যা হয়ে যাবে।’
এর পরই দেবনারায়ণকে তারা জানায় বেশি সময় নষ্ট করবে না। ভাড়া সংক্রান্ত কয়েকটা বিষয় জেনেই চলে যাবে। কত ভাড়া, কবে থেকে পাওয়া যাবে ইত্যাদি। তাদের কথায় রাজি হয়ে যান দেবনারায়ণ। ওই চার জনকে ঘরেও ডেকে নেন তিনি। চার জনের মধ্যে এক জন জল খেতে চায়। জল আনার জন্য দেবনারায়ণ ঘুরতেই তাঁর মুখ চেপে ধরে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকায়। তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি দত্তকেও ডেকে নিয়ে এসে হাত-মুখ বেঁধে ফেলে দুষ্কৃতীরা। বাঁধা হয় দেবনারায়ণকেও। তার পরই দুষ্কৃতীরা অবাধে লুঠপাট চালায়। আলমারির লকার খুলে নগদ ও সোনার গয়না নিয়ে গিয়েছে বলে জানান অঞ্জলি। প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। তার চলে গেলে নিজের বাঁধন খুলে স্ত্রীকে মুক্ত করেন দেবনারায়ণ। এর পরই নীচে নেমে ভাড়াটে অঙ্কন মিত্রকে ডাকেন। ডাকাতির খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
খবর পেয়ে চুঁচুড়া থানার আইসি অনুপম চক্রবর্তী পুলিশ নিয়ে হাজির হন ঘটনাস্থলে। শহরে ঢোকাএবং বেরোনোর সব রাস্তায় নাকা তল্লাশি শুরু করে তারা। কল্যাণী সেতু দিয়ে দুষ্কৃতীরা গঙ্গা পেরোতে পারে এমন সম্ভাবনায় শঙ্খনগরে চলে নাকাতল্লাশি।