শ্রীরামপুর-নিউ টাউন রুটের বাস। —নিজস্ব চিত্র।
মাঝরাস্তায় যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে বাস নিয়ে চলে গেলেন ঋণ প্রদানকারী সংস্থার লোকজন। শুধু তাই নয়, আটকাতে গেলে চালকদের মারধর করারও অভিযোগ। হুগলির শ্রীরামপুরের ঘটনা। প্রতিবাদে শ্রীরামপুর নিউ টাউন রুটে বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাস মালিকরা। পাশাপাশি, বুধবার সন্ধায় উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ জানাতে যান তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঋণ শোধ না করায় শ্রীরামপুর-নিউ টাউন ২৮৫ নম্বর রুটের তিনটি বাস তুলে নিয়ে গিয়েছে ঋণ প্রদানকারী সংস্থা। যা নিয়ে চাপানউতর তৈরি হয়েছে। ওই ঘটনা প্রসঙ্গে শ্রীরামপুর-নিউ টাউন রুটের বাস মালিক সংগঠনের সভাপতি রঞ্জন প্রামাণিক বলেন, ‘‘বাসের ঋণ পরিশোধ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা চলছে। এই অবস্থায় ঋণদানকারী সংস্থা রিকভারি এজেন্টদের দিয়ে আজ আমাদের তিনটি বাস তুলে নিয়ে যায়।’’ তিনি জানান, ওই বাসগুলো যখন শ্রীরামপুর থেকে নিউ টাউনের দিকে যাচ্ছিল তখন উত্তরপাড়া এবং বালি থেকে সেগুলোকে ‘তোলা’ হয়। রঞ্জনের কথায়, ‘‘সব থেকে খারাপ বিষয় হল, বাসে যত যাত্রী ছিলেন, তাঁদের নামিয়ে দেওয়া হয়। বাসচালককেও মারধর করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ জানাতে যাই।’’
বাসমালিক সংগঠনের তরফে অভিযোগ, এমনিতেই অটো এবং টোটোর দৌরাত্ম্যে বাসে যাত্রীর সংখ্যা তলানিতে ঠেকেছে। শ্রীরামপুর-নিউ টাউন রুটে যে কয়টি বাস চলছে, সেগুলোও ঋণের দায়ে ধুঁকছে। বাসমালিকেরা বাস চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাই এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাসমালিক সংগঠনের সভাপতির কথায়, ‘‘বাসের মতো গণপরিবহনকে বাঁচাতে প্রশাসন ব্যবস্থা নিক। আজকের ঘটনা রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রীকেও জানানো হবে।’’
বাস তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার সমালোচনা করেছেন শ্রীরামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা উচিত। পুলিশ বিষয়টি নিশ্চয়ই দেখবে। যদি মনে হয় পুলিশ কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে না, সে ক্ষেত্রে পুরসভায় এলে আমি নিশ্চয়ই পুলিশের সঙ্গে কথা বলব।’’