ফাইল ছবি
হাওড়ার কর্মকার পরিবারের দুই গৃহবধূ রিয়া ও অনন্যাকে ফেরানো হচ্ছে শ্বশুরবাড়িতে, গত দু’দিন বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের বাড়িতে গিয়ে জানা গেল, এখনও সে রকম কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আগামিদিনে কী হবে, এই ভেবে উল্টে এখনও তাঁরা যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছেন। তবে শ্বশুরবাড়িতে তাঁদের ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু রিয়া এবং অনন্যা কী চান, তা যদিও এখনও স্পষ্ট নয়।
নিশ্চিন্দার দুই গৃহবধূ রিয়া ও অনন্যা ভালবেসে ঘর ছেড়েছিলেন দুই রাজমিস্ত্রীর সঙ্গে। তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় নিশ্চিন্দা থানায়। বড় বউ অনন্যার মায়ের কাছেই দু’জনকে তুলে দেওয়া হয়। তার পর থেকে সেখানে রয়েছেন দু’জনে। হাওড়ার লিলুয়ায় বড় বউয়ের বাপের বাড়ি গিয়ে দেখা গেল, যথেষ্ট উদ্বেগের মধ্যে গোটা পরিবার।
অনন্যার বাবার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘এখন সঠিক ভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।’’ কথা বলার জন্য তাঁর স্ত্রীকে ডেকে দেন। থমথমে মুখে তিনি বলেন, ‘‘ আমাদের অবস্থা ভাল না।’’ এর পর তিনি ঘরে ঢুকে যান। অনন্যার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি কিছু না বলে বাবা-মাকে ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন।
অনন্যার বাপের বাড়ি নিজস্ব চিত্র
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, দুই জা এখনও এখানে রয়েছেন। তবে তাঁরা কেউ বাইরে বেরোন না। অনন্যার বাপের বাড়ির লোকজন শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিযয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
সম্প্রতি দুই রাজমিস্ত্রি জানিয়েছিলেন, রিয়া এবং অনন্যার সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পেরে তাঁরা উতলা হয়ে উঠেছেন। এমনও বলেছেন তাঁরা, রিয়া এবং অনন্যা নিয়ম মাফিক বিবাহবিচ্ছেদ করলে তাঁদের বিয়ে করতে আপত্তি নেই। কিন্তু রিয়া এবং অনন্যা কী চান? তাঁরা কি চান শ্বশুড়বাড়ি ফিরতে? নাকি তাঁরা ফিরে যেতে চান রাজমিস্ত্রিদের কাছে? সেই উত্তর অবশ্য মেলেনি এখনও।