রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনের মতো এ বার খুদে পড়ুয়ারা পড়াশোনা করবে খোলা জায়গায়।
৩ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার থেকে আবার খুলছে স্কুল। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা স্কুলে গিয়ে পড়়াশোনা করবে। কিন্তু ছোটরা স্কুলের আবহ, পড়াশোনা, বন্ধুদের সঙ্গে খোলাধুলো, গল্প থেকে বাদ পড়ে কেন! তাদের জন্য তাই শুরু হচ্ছে পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয়। করোনা আবহে ক্লাস ঘরে নয় রাজ্যের পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয়ে পড়াশোনা করবে পড়ুয়ারা। এতে পড়ুয়াদের মানসিক বিকাশ সহজ হবে। গত দু’বছরের ‘অনলাইন ক্লাস’-এর বাইরে স্কুল আবহে ফিরতে পারবে বলে আশা রাজ্য শিক্ষা দফতরের।
রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনের মতো এ বার খুদে পড়ুয়ারা পড়াশোনা করবে খোলা জায়গায়। একই পাড়ার ছাত্রছাত্রীরা একসঙ্গে পাড়ার শিক্ষালয়ে পড়াশোনা করবে। করোনার শুরু থেকেই স্কুলে যাওয়া বন্ধ ছোটদের। এতে তাদের মানসিক এবং শারীরিক সমস্যা বাড়ছে বলেই মনে করছেন বহু শিশু চিকিৎসক। তবে আপাতত প্রথাগত শিক্ষার থেকেও ছোটদের আবার স্কুলমুখী করা এবং স্কুলের পরিবেশে ফিরিয়ে আনতে পাড়ায় শিক্ষালয় চালু করা। তাই পড়ুয়াদের কবিতা, গল্প, আবৃত্তির মতো সাংস্কৃতিক আবহে ক্লাস শুরু হতে চলেছে।
কেমন হবে রাজ্যের পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয়—
• পাড়াভিত্তিক হবে এই শিক্ষালয়
• একটি পাড়ায় একই শ্রেণির পড়ুয়ারা পড়াশোনা করবে
• খোলা জায়গা, পার্ক, খেলার মাঠে হবে পঠনপাঠন
• কোভিড বিধি মেনে চলবে পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয়
• আপাতত পাড়ার শিক্ষালয়ে উপস্থিতি দেখার জন্য কাগজেই নাম নথিভুক্ত করা হবে
• ‘জয়ফুল লার্নিং’-এ জোর দেওয়া হবে
• কবিতা, আবৃত্তি, গানের মাধ্যমে ক্লাস শুরুর ভাবনা
• পৃথক সময়ে এক একটি শ্রেণির ক্লাস হবে
• দৈনিক দুটো শ্রেণি পাড়ার শিক্ষালয়ে পঠনপাঠন করবে
• দু’ঘন্টা ধরে এক একটা শ্রেণির ক্লাস চলবে
ইতিমধ্যেই পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয়ের জন্য নির্দেশিকা দিয়েছে শিক্ষা দফতর। পাড়ার এই শিক্ষালয়ে কোন শিক্ষক-শিক্ষিকারা ক্লাস করাবেন তার রূপরেখাও তৈরি করা হচ্ছে। কলকাতা পুর এলাকায় পাড়ায় শিক্ষালয়ের জন্য কাউন্সিলরদের সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র পারিষদ (শিক্ষা) সন্দীপন সাহা। বেশ কিছু স্কুল কর্তৃপক্ষও জানিয়েছেন, অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির স্কুল চালুর জন্য যেমন শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করা হয়েছে, তেমনই ছোটদের জন্য খেলার মাঠ থেকে খোলা জায়গা বাছাই করা হচ্ছে। পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় চালু হলে, ক্লাসের বেঞ্চে না হোক খোলা জায়গায় দেখা হোক বন্ধুদের সঙ্গে। মন খুলে কথা বলুক বাচ্চারা। বলছেন শিশু চিকিৎসকেরা।