অগ্নিকাণ্ডে মৃত দুই, প্রশ্নে হাসপাতাল

রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার ফেটে অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনায় মৃত্যু হল দু’জনের। শুক্রবার সকালে বর্ধমান মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়।পুলিশ জানায়, মৃতেরা হলেন রহিমা বিবি (৬৫) এবং তাঁর নাতনি নাজরিন খাতুন (৭)। বৃহস্পতিবার দুপুরে মুরারই থানার বাগিশপুর গ্রামের ওই ঘটনায় মোট ছ’জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট ও বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৫৪
Share:

রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার ফেটে অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনায় মৃত্যু হল দু’জনের। শুক্রবার সকালে বর্ধমান মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়।

Advertisement

পুলিশ জানায়, মৃতেরা হলেন রহিমা বিবি (৬৫) এবং তাঁর নাতনি নাজরিন খাতুন (৭)। বৃহস্পতিবার দুপুরে মুরারই থানার বাগিশপুর গ্রামের ওই ঘটনায় মোট ছ’জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন। ঘটনায় এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় আতিকুল ইসলাম নামে ছ’বছরের এক বালক বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি। বাকি তিন জন বর্তমানে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রের খবর, বাড়ির রান্নাঘরে নতুন পাওয়া গ্যাস জ্বালাতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাত ৯টা নাগাদ বর্ধমান মেডিক্যালে রহিমা বিবি, নাজরিন এবং আতিকুরকে পাঠানো হয়। এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ প্রথমে নাজরিন এবং সাড়ে ৮টা নাগাদ রহিমা বিবির মৃত্যু হয়। এ দিন হাসপাতালে দাঁড়িয়ে রহিমা বিবির ভাই কাশেম মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর উজালা গ্যাস প্রকল্পে নতুন গ্যাস পেয়েছিলেন রহিমা। তা দেখতেই ভিড় করেছিলেন সবাই। আগুন দিতেই পুরোটা জ্বলে যায়।’’

Advertisement

এ দিকে, ওই ঘটনায় রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের অভিযোগ, তাঁরা ঠিকমতো পরিষেবা পাচ্ছেন না। এ দিন হাসপাতালে ঘুরে দেখা যায় তিনতলায় মহিলা বিভাগ ও চার তলায় পুরুষ বিভাগে একটি করে ঘরের মধ্যে সাধারণ শয্যার ব্যবস্থা করে বাইরে থেকে ‘বার্ন ঘর’ লিখে ওই রোগীদের রাখা হয়েছে। ঘরের ভিতরে কোনও রকম সংক্রমণনাশকের ব্যবস্থা করা নেই। ঘরের মধ্যে কোনও রকম শীতাতপ যন্ত্র বসানো নেই। এখনও পর্যন্ত রোগীদের গায়ে মলম লাগিয়ে দিচ্ছেন পরিজনেরাই। দুপুর পর্যন্ত তাঁদের জন্য কোনও রকম মশারি খাটানোর ব্যবস্থা করতে দেখা যায়নি। পরিজনদের দেখা গেল সাধারণ পোশাকেই ওই রোগীদের পরিচর্যা করছেন। পরনে নেই কোনও মাস্ক, গ্লাভস, গাউন, আলাদা জুতো।

কেন এই অব্যবস্থা?

হাসপাতাল সুপার সুবোধকুমার মণ্ডলের দাবি, চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর অভাব আছে। দু’টি বিভাগে এক জন করে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী আছে। তবে খুব শীঘ্রই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নতুন বার্ন ইউনিট খোলা হচ্ছে। ‘‘সেখানে আশা করা যায়, উপযুক্ত পরিকাঠামো ও পরিষেবা রোগীদের দেওয়া হবে,’’—বলছেন সুবোধবাবু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement