প্রতীকী ছবি।
মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষকদের নিজের জেলায় পড়ানোর বন্দোবস্ত করলেও শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, ‘অনার্স ক্যাটেগরির’ শিক্ষকেরা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। অনার্স ক্যাটেগরির শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, তাঁদের হাতে বদলির নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তাঁরা জেনারেল ট্রান্সফার বা সাধারণ বদলি এবং স্পেশাল ট্রান্সফার বা বিশেষ বদলির সুযোগ পাচ্ছেন না। তাঁদের আশঙ্কা, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী নতুন বদলি নীতির পরে ভবিষ্যতেও তাঁরা জেলায় বদলির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন।
কেন এই আশঙ্কা? শিক্ষকদের একাংশের মতে, এসএসসি-র মাধ্যমে যে-শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে, তাতে এখন কোনও স্কুলেই অনার্স শিক্ষক দেওয়া হচ্ছে না। আপার প্রাইমারি, মাধ্যমিক (নবম-দশম) এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের জন্য যথাক্রমে পাশ স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ক্যাটেগরির শিক্ষক নিয়োগের নিয়ম চালু হয়েছে। অনার্স স্নাতকদের জন্য আলাদা পদ নেই। তাই অনার্স শিক্ষকেরা বদলি চাইলেও স্কুল পাচ্ছেন না। তাঁদের সম্বল মিউচুয়াল ট্রান্সফার বা পারস্পরিক বদলি। এখন ২০ হাজারের কিছু বেশি অনার্স শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন। শিক্ষা শিবিরের খবর, বেশ কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকা স্পেশাল গ্রাউন্ডে বদলির জন্য হাতে নির্দেশের প্রতিলিপি পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষা দফতর তাঁদের জন্য স্কুল বরাদ্দ করতে পারছে না।
শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‘অনার্স শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্নাতকোত্তর স্তরে উন্নীত করে এই সমস্যার সমাধান করা হোক। যাঁদের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেই, তাঁদের সেটা করে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক।’’ পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতি সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকার জানান, অনার্স শিক্ষকদের বেতন এক রেখে অন্য স্কুলে পাশ স্নাতক পদে বদলি করে সুরাহা করা যেতে পারে।
শিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, বদলির প্রক্রিয়া শুরু হবে সব স্তরের শিক্ষকদের মধ্যেই। অনার্স শিক্ষকদের বদলিতে কোনও অসুবিধা হবে না।