দূরত্ব মাত্র পঁয়তাল্লিশ মিনিটের। কিন্তু সেই দূরত্বই পৌঁছতে লেগে গেল প্রায় দেড় ঘণ্টা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে শিয়ালদহ ডিভিশনের মেন লাইনে বৃষ্টির জল জমে ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে যাওয়ায় এ ভাবেই ভুগতে হয় ঘরমুখী যাত্রীদের। সন্ধ্যার পর থেকে এক নম্বর লাইনে পরপর ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। বিপর্যয় সামলে সব ট্রেনই গন্তব্যে পৌঁছেছে অনেক দেরিতে।
রেল সূত্রের খবর, এ দিন লাইনে বৃষ্টির জল জমে চাকদহ ও মদনপুরে দু’টি সিগন্যাল বিকল হয়ে যায়। ফলে ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্টেশনে এবং মাঝপথে ট্রেন দাঁড় করিয়ে দিতে হয়। কিন্তু ক্ষুব্ধ যাত্রীদের প্রশ্ন, সিগন্যাল বিকল হয়েছিল তো চাকদহ আর মদনপুরে। তা হলে কল্যাণী পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হল কেন? এর ব্যাখ্যা অবশ্য দিতে পারেননি রেলকর্তারা।
বর্ষা তো এখনও সে-ভাবে আসর জমাতেই পারেনি। দিনভর বৃষ্টি হয়েছে এক দিনই। তা-ও তেমন আকাশ ভেঙে বর্ষণ নয়। সামান্য বৃষ্টিতেই রেললাইনে জল জমে সিগন্যাল বিকল হয়ে গেল কেন?
হেলাফেলার মেরামতি এবং রক্ষণাবেক্ষণের গাফিলতিকেই দুষছেন রেলকর্মী ও কর্তাদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, বর্ষার আগে রেললাইনের ধারের জল নিকাশির জন্য নর্দমা পরিষ্কার হয়নি। ফলে একটু বৃষ্টি হতে না-হতেই নর্দমার লাইনে জল জমে ট্রেন থমকে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ দিন সেটাই হয়েছে। ঠিক যেমন হচ্ছিল কালবৈশাখীর মরসুমে। গাছের ডালপালা একটু-আধটু পড়ল কি পড়ল না, কালবৈশাখীর মরসুমে তার ছেঁড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল শিয়ালদহ ডিভিশনের বিভিন্ন শাখায়। কালবৈশাখীর আগে লাইনের ধারের গাছের ডালপালা ছেঁটে ফেলাটাই দস্তুর। তা হয়নি বলেই বিপত্তি ঘটছিল। বর্ষার আগে নিকাশির কাজ ঠিকঠাক না-হওয়ায় এ দিন জল জমে একই ধরনের বিপত্তি ঘটাল।