ফাইল চিত্র।
কর আদায়ের নামে রাজ্যের ব্যবসায়ীদের অহেতুক বিড়ম্বনায় ফেলার অভিযোগে বিদ্ধ পণ্য এবং পরিষেবা কর (জিএসটি) কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি রাজ্যের একটি আটাকল মালিকের দায়ের করা মামলাতেই এই প্রসঙ্গ উঠেছে। তাতে জিএসটি দফতরের বিরুদ্ধে আইন বহির্ভূত ভাবে কাজ করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলায় মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর ববি শরাফ নির্দেশ দিয়েছেন, জিএসটি দফতরকে আইন মেনে চলতে হবে। এ ব্যাপারে রাজ্যের কোনও নির্দেশ থাকলে তাকেও মান্যতা দিতে হবে।
পুরুলিয়ার ওই আটাকলের আইনজীবী বিনয় শরাফ ও হিমাংশুকুমার রায় আদালতে জানান, রাজ্য সরকারের সঙ্গে রেশনের আটা তৈরি নিয়ে চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় পণ্য ও পরিষেবা কর থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে আটাকলগুলিকে। তা সত্ত্বেও জিএসটি গোয়েন্দারা বার বার সমন পাঠিয়েছেন। এমনকি দিল্লির সদর দফতরেও তলব করা হয়েছিল। রাজ্যের খাদ্য দফতরের বিশেষ সচিবও চিঠি মারফত এই ছাড়ের কথা জিএসটি দফতরে জানিয়েছিলেন।
আদালতে কৌঁসুলিরা জানান, এ সবের মধ্যে আটাকলের এক প্রতিনিধি ও হিসাবরক্ষক জিএসটি দফতরে হাজির হয়ে নথিপত্র জমা দেন। পরবর্তী কালে স্বাস্থ্যের কথা জানিয়ে দিল্লিতে হাজির হওয়ায় অপারগতার কথা জানান আটাকল মালিকেরা। তার পরেও জিএসটি গোয়েন্দারা তলব করেছেন।
অনেকেই বলছেন, কেন্দ্র ও রাজ্যের এই দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়লে রেশন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তার ফলে বিপদে পড়বেন আমজনতা। এ ক্ষেত্রে রাজ্য ও কেন্দ্রের কর সংক্রান্ত কোনও বিভ্রান্তি থাকলে তা আধিকারিক পর্যায়ে বৈঠক করেও মিটিয়ে নেওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।