প্রতীকী ছবি।
এক ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রশাসনিক বিভাগ। বৃহস্পতিবার তাঁকে পুনরায় বহাল করার নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ হাইকোর্টেরই প্রশাসনিক বিভাগের এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। জরিমানার টাকা পাবেন ওই ম্যাজিস্ট্রেট।
সরকারি গাড়ি না-আসায় ২০০৭ সালে মে মাসের এক দিন লেক গার্ডেন্স স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেনে আদালতে যাচ্ছিলেন শিয়ালদহের তৎকালীন রেলওয়ে ম্যাজিস্ট্রেট মিন্টু মল্লিক। ট্রেন সময়মতো না-আসায় তার চালক ও গার্ডকে তলব করে দেরির কারণ জানিয়ে রিপোর্ট দিতে বলেন তিনি। তার প্রতিবাদে লোকাল ট্রেনের চালকদের ইউনিয়নের এক নেতা তাঁর এজলাসে দলবল নিয়ে চড়াও হন। আদালতের কাজে বাধা দেওয়ায় ওই নেতাকে কিছু ক্ষণ আদালতে আটকে রাখার নির্দেশ দেন মিন্টুবাবু। তার জেরে বেশ কিছু ক্ষণ ট্রেন চালানো বন্ধ রাখেন চালকেরা। সেই ঘটনায় মিন্টুবাবুকে দু’বছর সাসপেন্ড করে হাইকোর্ট প্রশাসন। পরে তাঁকে আলিপুর আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়।
হাইকোর্ট প্রশাসন সূত্রের খবর, মিন্টুবাবু আলিপুরের জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড ও বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়াও চালু থাকে। ২০১৩-য় তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় হাইকোর্ট প্রশাসন। তার বিরুদ্ধে বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের আদালতের দ্বারস্থ হন মিন্টুবাবু। বিচারপতি সমাদ্দার তাঁর আবেদন খারিজ করে দেন। বিচারপতি সমাদ্দারের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আপিল মামলা করেন ওই ম্যাজিস্ট্রেট।
এ দিন ডিভিশন বেঞ্চ হাইকোর্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়, মিন্টুবাবুকে শুধু পুনর্বহাল করলে চলবে না। বকেয়া পাওনাগণ্ডার ৭৫% মিটিয়ে তাঁকে প্রোমোশনও দিতে হবে। তাঁর চাকরিতে যাতে ছেদ না-পড়ে, তা-ও নিশ্চিত করতে বলেছে ডিভিশন বেঞ্চ।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।