সাংসদ কুণাল ঘোষের সুপারিশ অনুযায়ী, তাঁর এমপি ল্যাডের টাকা খরচের ব্যবস্থা করে তা ১৫ দিনের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টকে জানাতে হবে। বুধবার কলকাতার যুগ্ম মিউনিসিপাল কমিশনারকে (সাধারণ ও উন্নয়ন) ওই নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক।
গত আড়াই বছর ধরে তাঁর সাংসদ কোটার টাকায় যে সব উন্নয়নমূলক কাজের জন্য তিনি সুপারিশ করেছেন, তার একটিও কার্যকর না-হওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কুণাল। আদালতে দায়ের করা মামলার আবেদনে তৃণমূলের সাসপেন্ড হওয়া রাজ্যসভার সদস্য কুণাল দাবি করেছেন, তাঁর সুপারিশ করা প্রায় ১০ কোটি টাকার প্রকল্প আটকে রয়েছে। এই মামলায় গত ১৮ জানুয়ারি বিচারপতি বসাক জানিয়ে দেন, কুণালের সুপারিশগুলি কার্যকর করতে হবে। বিচারপতি নির্দেশ দেন, কোন পদাধিকারী টাকা মঞ্জুর করবেন, তা আদালতকে জানাতে হবে।
এ দিন কলকাতা পুরসভার আইনজীবী অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি রিপোর্ট পেশ করে জানান, কুণালের সাংসদ তহবিলের টাকা মঞ্জুর করবেন কলকাতা পুরসভার যুগ্ম মিউনিসিপাল কমিশনার (সাধারণ ও উন্নয়ন)। একই সঙ্গে অশোকবাবু আদালতে জানান, সাংসদ কোটার টাকা খরচের ব্যাপারে কেন্দ্রের একটি নির্দেশিকা রয়েছে। সেই নির্দেশিকা মেনেই টাকা মঞ্জুর করা হয়। ফলে, জেলে থাকাকালীন কুণাল যখন একের পর এক সুপারিশ করে গিয়েছেন, তখন সেই সুপারিশ করা প্রকল্পের টাকা নির্দেশিকা মেনে মঞ্জুর করতে হবে।
তা শোনার পরে বিচারপতি জানান, ওই নির্দেশিকা মেনেই সুপারিশগুলি বিবেচনা করে দেখতে হবে এবং সেটা করে জানাতে হবে ১৫ দিনের মধ্যে। কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী জানান, সাংসদ কোটার আগের টাকা এ ভাবে গত আড়াই বছর ধরে আটকে থাকায় পরের ১৫ কোটি টাকা খরচের সুপারিশ করতে পারছেন না তাঁর মক্কেল।