প্রতীকী ছবি।
একশো দিনের কাজ প্রকল্পের সওয়া কোটি টাকা সিউড়ি ডাকঘর থেকে লোপাট হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই মামলায় অভিযুক্ত ডাককর্মীর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
অভিযোগ, সিউড়ি ডাকঘরের সিস্টেম অ্যানালিস্টের পদে নিযুক্ত সফিউল আলম একশো দিনের কাজ প্রকল্পের উপভোক্তার ডেটাবেসে গরমিল করে ভুয়ো অ্যাকাউন্টে প্রায় এক কোটি ৩০ লক্ষ টাকা সরিয়ে নিয়েছেন। এই মামলার বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সিউড়ি জেলা আদালত আগেই অভিযুক্তের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চেও তাঁর সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, গত বছর নতুন পোস্টমাস্টার ওই ডাকঘরে কাজে যোগ দেওয়ার পরে সফিউল প্রায় এক কোটি টাকার একটি হিসেবের নথিতে তাঁকে দিয়ে সই করাতে যান। কিন্তু সন্দেহ হওয়ায় পোস্টমাস্টার তা সই করেননি। সেই হিসেব খতিয়ে দেখতে গিয়েই গরমিল ধরা পড়ে। তার পরেই ডাক বিভাগের স্থানীয় সুপার এবং পোস্টমাস্টার, দু’জনেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। গত বছরের জুলাইয়ে মামলা হয়। তদন্তে নামে পুলিশ।
অভিযুক্তের তরফে বৃহস্পতিবার আদালতে জামিনের আর্জি জানানো হলে বিভাসবাবু তার বিরোধিতা করেন। তিনি জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি সিস্টেম অ্যানালিস্ট হওয়ার ফলে ডাকঘরের কম্পিউটার সিস্টেমে ‘সুপার ইউজ়ার’-এর ক্ষমতা ভোগ করতেন।
আর সেই ক্ষমতা ব্যবহার করেই তিনি একশো দিনের কাজ প্রকল্পের টাকা লেনদেনে ব্যাপক গরমিল করেন। তিনি একই ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে কিছু পরিচিত লোকের পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ডাকঘরে ভুয়ো অ্যাকাউন্টও খুলেছিলেন এবং বৈধ উপভোক্তার বদলে সেই টাকা ভুয়ো অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিভাসবাবু আরও জানিয়েছেন, পুলিশি তদন্তে এলাকার বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে
দেখা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি এটিএম কার্ড ব্যবহার করে ওই সব অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলছেন। দু’পক্ষের সওয়াল শোনার পরে ডিভিশন বেঞ্চ আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়।