rain

রাতভর বৃষ্টিতে ভাসছে রাজ্য, দুর্যোগ চলবে আরও দু’দিন

বৃষ্টি থামার কোনও চিহ্নমাত্র নেই। মৌসুমী অক্ষরেখা ও ঘূর্ণাবর্তের জোড়া ফলায় জোরাল হচ্ছে বৃষ্টির পরিমাণ

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৮ ১০:০৮
Share:

প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতা। ছবি: পিটিআই

বৃষ্টি থামার কোনও চিহ্নমাত্র নেই। রাতভর কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে রাজ্যের সর্বত্র। ভারী বর্ষণ হয়েছে কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে। নিম্নচাপের কারণে গত সাত দিন ধরেই সক্রিয় হয়েছে বর্ষা। চলছে অঝোর বৃষ্টি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় আগামী তিন দিন এমনটাই চলবে। ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে। বৃষ্টির সঙ্গে রয়েছে ঝোড়ো হাওয়াও। দিল্লির হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী তিন দিন সক্রিয় থাকবে মৌসুমী অক্ষরেখা। মৌসুমী অক্ষরেখা ও ঘূর্ণাবর্তের জোড়া ফলায় জোরাল হচ্ছে বৃষ্টির পরিমাণ। এর প্রভাবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা রাজ্যজুড়ে বৃষ্টি চলবে।

Advertisement

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বাংলাদেশের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। আরেকটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে ওড়িশা এবং এ রাজ্যের উপকূলের কাছে। অক্ষরেখাটি ডায়মন্ড হারবার ও শান্তিনিকেতনের উপর দিয়ে গিয়েছে মধ্য এবং পূর্ব বঙ্গোপসাগরের দিকে। ফলে আগামী ৪৮ ঘন্টা রাজ্যজুড়ে বৃষ্টিপাত কমার খুব একটা সম্ভাবনা নেই।

উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতেও প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণবঙ্গও বর্ষার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না।

Advertisement

আরও খবর: আন্ডারপাসের জমা জলে আটকে বিকল স্কুলবাস

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতেও আগামী দু’দিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দুই চব্বিশ পরগনা, মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

রাজ্যজুড়ে একটানা প্রবল বৃষ্টিতে উত্তর কলকাতার কাশীপুর, সুকিয়া স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, মহাত্মা গাঁধী রোডের বেশ কিছু অংশে জল জমে যায়। জল জমে যায় বাগুইআটি, ভিআইপি রোড, দমদম ও পাতিপুকুর আন্ডারপাসেও। জল জমেছে দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ, আলিপুর, ঢাকুরিয়া, বেহালা, জোকা-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায়। হাওড়ার রামরাজাতলা, সালকিয়া, পঞ্চাননতলা-সহ বেশ কয়েকটি জায়গা টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে।

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় সাত জন মৎস্যজীবীর খোঁজ মেলেনি। সমুদ্র উপকূলে পর্যটকদের যাতায়াতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হচ্ছে।

আরও খবর: নিষ্ফলা ব্লিচিং নিয়েই চলছে ডেঙ্গি-লড়াই

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement