সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসের গোড়াতেই ফের শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে। শুক্রবার ছিল প্রথম পর্যায়ের শেষ শুনানির দিন। এ দিন পর্যন্ত বেঞ্চে আগামী শুনানি কবে হবে তা নিয়ে কোনও নির্দেশিকা প্রকাশ করেনি হাইকোর্ট। আইনজীবীদের দাবি, শুক্রবার পর্যন্ত কোনও নির্দেশিকা প্রকাশ না করায় আগামী সপ্তাহে বেঞ্চ বসবে না তা ধরে নেওয়াই যায়। আগামী সপ্তাহে দোলের ছুটিও রয়েছে। হাইকোর্ট প্রশাসন সূত্রের খবর, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষ থেকে ফের শুনানি হতে পারে।
শুক্রবার দু’টি ডিভিশন বেঞ্চ এবং দু’টি সিঙ্গল বেঞ্চ বসেছিল হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে। এ দিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে কোনও মামলা ছিল না। শিলিগুড়ি এবং রায়গঞ্জের কিছু প্রাথমিক শিক্ষককে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। নিয়ম বর্হিভূত ভাবে বদলির অভিযোগ এনে সরকারের বিরুদ্ধে রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন ওই শিক্ষকরা। এ দিন মামলার নোটিস জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদকে পাঠানো হয়নি জেনে শুনানি পিছিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে রাজ্যের কাছে হলফনামাও চেয়েছে হাইকোর্টের বেঞ্চ। যদিও বদলি প্রক্রিয়ায় কোনও স্থগিতাদেশ হাইকোর্ট দেননি বলে সরকারি আইনজীবীরা জানিয়েছেন। শিক্ষকদের সকলকে কাজে যোগ দিতেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মামলায় সরকারপক্ষের হয়ে সওয়াল করেন অতিরিক্ত সরকারি আইনজীবী জয়জিৎ দত্ত, হীরক বর্মণ-সহ অন্যরা।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ও অন্য বিচারপতিরা এ দিনই জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতায় রওনা হয়েছেন। বেঞ্চ না বসলেও জলপাইগুড়ি সার্কিটের অন্য অফিসগুলি নিয়মিত খুলবে। মামলাও রুজু করা যাবে। কত মামলা রুজু হয়েছে তা দেখেই কবে বেঞ্চ বসবে সে বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সিদ্ধান্ত নেবেন বলে হাইকোর্ট প্রশাসন সূত্রের খবর।