ছবি: সংগৃহীত।
শিক্ষক সংগঠনের অফিসঘর থেকে জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য সোমবার চিঠি দিয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই নির্দেশের উপরেই মঙ্গলবার স্থগিতাদেশ জারি করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী।
বিশ্বভারতী ইউনির্ভাসিটি ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশনের (ভিবিইউএফএ) আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও শামিম আহমেদ এ দিন জানান, ২০১৫ সালে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে ওই শিক্ষক সংগঠনকে একটি অফিসঘর দেওয়া হয়। সংগঠনের কাজ করার জন্য সেই ঘর সংগঠনের সদস্য শিক্ষকেরা ব্যবহার করতেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অফিসঘরটিতে তালা লাগিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদল্যায়ের যুক্তি ছিল, ভিবিইউএফএ-র সদস্য সংখ্যা এতটা নয় যে, তারা ক্যাম্পাসে কোনও অফিসঘর পেতে পারে।
সেই সময় ভিবিইউএফএ অভিযোগ করেছিল, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাদের কিছু না জানিয়েই অফিসঘর তালা বন্ধ করেছে। তালা লাগানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করে ওই শিক্ষক সংগঠন। তাদের আইনজীবীরা জানান, সোমবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ভিবিইউএফএ-র সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে চিঠি দিয়ে জানান, অফিসঘর থেকে জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে। এ দিন মামলার শুনানিতে বিকাশবাবু আদালতে জানান, ২০১৬ সালে অফিসঘর বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি। কিন্তু, সেই সময় সংগঠনের পদাধিকারীদের সেই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়নি। এ দিন বিশ্বভারতীর পক্ষে আইনজীবী সৌম্য মজুমদার আদালতে জানান, কর্তৃপক্ষ তাঁদের বক্তব্য আদালতে হলফনামা দিয়ে জানাতে চান।
দু’পক্ষের সওয়াল শুনে বিচারপতি চক্রবর্তী সোমবারের চিঠির উপরে স্থগিতাদেশ জারি করে জানিয়ে দেন, মামলার ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ওই অফিসঘর অন্য কাউকে দিতে পারবেন না। ভিবিইউএফএ-র নেতৃত্বস্থানীয় এক শিক্ষক বলেন, ‘‘এই রায়ে আমরা খুশি। আশা করি, মূল মামলায় আমরাই জয়ী হব।’’