ফের অস্ত্রোপচার হাকিমের

খাগড়াগড় বিস্ফোরণে আহত আব্দুল হাকিম মোল্লার ফের অস্ত্রোপচার হল সোমবার। ২ অক্টোবরের সেই বিস্ফোরণে অন্যতম অভিযুক্ত হাকিমও। তাঁর বাঁ হাঁটুতে মারাত্মক ক্ষতি হয়। কলকাতার এসএসকেএমে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। সেই মতো ১৭ অক্টোবর তাঁর প্রথম বার অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু তা সফল হয়নি। তাই দ্বিতীয় বার অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৪ ০২:৪৯
Share:

খাগড়াগড় বিস্ফোরণে আহত আব্দুল হাকিম মোল্লার ফের অস্ত্রোপচার হল সোমবার।

Advertisement

২ অক্টোবরের সেই বিস্ফোরণে অন্যতম অভিযুক্ত হাকিমও। তাঁর বাঁ হাঁটুতে মারাত্মক ক্ষতি হয়। কলকাতার এসএসকেএমে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। সেই মতো ১৭ অক্টোবর তাঁর প্রথম বার অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু তা সফল হয়নি। তাই দ্বিতীয় বার অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত হয়।

এ দিন এসএসকেএমের রোনাল্ড রস ভবনে প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে পাঁচতলায় ঘণ্টাখানেক ধরে অস্ত্রোপচার হয়। তার পর হাকিমকে রিউম্যাটোলজি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছু ক্ষণ পরেই তাকে তার ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়। বৃহস্পতিবার হাকিমের ব্যান্ডেজ খোলা হবে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। হাসপাতালের অধিকর্তা প্রদীপকুমার মিত্র বলেন, “ব্যান্ডেজ খোলার পরই অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে কি না, জানা যাবে।”

Advertisement

হাকিম পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারছে না জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সংস্থার এক অফিসার জানান, বিস্ফোরণের একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী হাকিম। তাঁকে জেরা করে অনেক তথ্য মিলতে পারে বলে তদন্তকারীদের অনুমান। হাকিমের চিকিৎসার রিপোর্ট জানানো হচ্ছে না বলে আদালতে অভিযোগ করেছিল এনআইএ। তার উত্তরে প্রদীপবাবু বলেন, “এনআইএ আমাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেনি। আদালত ৩১ অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে। আমাদের মেডিক্যাল সুপার (ভাইস প্রিন্সিপ্যাল)-কে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দেবেন।”

এ দিনই খাগড়াগড় বিস্ফোরণে অন্য অভিযুক্ত বদরুল আলম মোল্লা ওরফে হাসেম মোল্লাকে কলকাতার নগর দায়রা আদালতের মুখ্য বিচারক মহম্মদ মুমতাজ খানের এজলাসে আনে এনআইএ। ওই অভিযুক্তকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রেখে জেরার নির্দেশ দেয় আদালত।

হাসেমকে জেরা করে নতুন কোনও তথ্য মিলছে না। তাই হাসেমকে আদালতে হাজির করিয়ে জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানান তদন্তকারীরা। এ-ও বলা হয়, তদন্তকারীরা যাতে জেলে গিয়ে অভিযুক্তকে জেরা করতে পারেন, সেই মর্মেও আদালত নির্দেশ দিক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement