তীব্র দহনের জ্বালায় প্রলেপ দিয়ে রবিবার দমকা হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হল দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জায়গায়। ফাইল চিত্র।
মুখ ভার ছিল সকাল থেকেই। বেলা বাড়তেই কালো মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। তার পরেই প্রবল ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি। দোসর বজ্রপাত। তীব্র দহনের জ্বালায় প্রলেপ দিয়ে রবিবার দমকা হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হল দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জায়গায়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর-২ নম্বর ব্লকের বকুলতলা থানার এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয় দুপুরে। শিলাবৃষ্টির পর বাইরে বেরিয়ে বরফ কুড়োতে দেখা যায় বকুলতলার বাসিন্দাদের। স্থানীয় অসীম হালদার বলেন, ‘‘অনেক দিন পর শিলাবৃষ্টি দেখলাম। যা গরম পড়েছিল। কিছুটা রেহাই মিলল!’’ উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের হৃদয়পুরেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ শিলাবৃষ্টি হয়েছে। ২০ মিনিটের টানা শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়েছে বিটি রোডে। জেলার গোবরডাঙা ও হাবড়াতেও ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। তবে শিলাবৃষ্টি হয়নি সেখান। নদিয়ার চাকদহ, গয়েশপুর, পালপাড়া, কালীনারায়ণপুরেও মিনিট পনেরোর শিলাবৃষ্টি হয়েছে। হয়েছে উত্তরবঙ্গের কোচবিহারেও।
বৃহস্পতির পর রবিবারেও শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে জেলার চাষিদের। শিলাবৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে আলু, পেঁয়াজের ক্ষেত এবং প্রচুর আম ও লিচু গাছ। গোবরডাঙার চাষি প্রদীপ মণ্ডল জমিতে তিল, পাট, কুমড়ো চাষ করেছিলেন। তাঁর ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রদীপের কথায়, ‘‘খেতে পাটের কোনও ডগা নেই। সব সমান হয়ে গিয়েছে। কুমড়ো গাছ দলা পাকিয়ে গিয়েছে। গোড়া থেকে গাছ উঠে গিয়েছে।’’ হৃদয়পুরের বাসিন্দা অনুপ মণ্ডলও বলেন, ‘‘প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল চাষে। ঝড়ে সব শেষ হয়ে গেল।’’