প্রতীকী ছবি।
প্রাক-প্রাথমিকে ভর্তির দাবিতে টাকি গর্ভনমেন্ট স্পনসর্ড মাল্টিপারপাস স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করলেন অভিভাবকদের একাংশ। শনিবার দুপুরে এই ঘেরাও শুরু হয়। সন্ধ্যার পরে নারকেলডাঙা থানার হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ ওঠে। প্রধান শিক্ষক পরেশকুমার নন্দ জানান, কাল, সোমবার স্কুলে পরিচালন সমিতির মিটিং রয়েছে। সেখানে এই বিষয়টি নিয়ে তাঁরা আলোচনা করবেন। স্কুল সূত্রের খবর, গত ১৮ ডিসেম্বর রাজ্যের প্রাক-প্রাথমিক স্তরে ভর্তির লটারি হয়। ওই লটারিতে ৮০ জন ছাত্রের নাম ওঠেনি। তাদেরই এক জনের বাবা অভিষেক দে বলেন, ‘‘যাদের ছেলেদের নাম ওঠেনি, তারা সবাই শিক্ষা ভবনে গিয়ে ডিআইয়ের সঙ্গে দেখা করি। প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়ার পরে ডিআই আমাদের ছেলেদের ভর্তির জন্য ফের টাকি স্কুলে পাঠিয়ে দেন।’’ অভিষেকবাবুদের দাবি, প্রধান শিক্ষক তাঁদের জানান, এখানে কোনও আসন নেই। তাঁদের অভিযোগ, শিক্ষা ভবনের নির্দেশ মানছেন না স্কুল কর্তৃপক্ষ।
যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষকের যুক্তি, লটারিতে নাম না ওঠা সবাইকে ভর্তি নিলে ক্লাসে বসার জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘‘লটারিতে ১০০টি আসন ছিল। তার মধ্যে ১৫টি সংরক্ষিত। ৮৫ জন ভর্তি হয়ে গিয়েছে। বাকিদের ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাদের সবাইকে ভর্তি নেওয়া সম্ভব নয়।
ওরা কী স্কুলের মাঠে গিয়ে বসবে?’’ শিক্ষা ভবনের এক কর্তা অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁরা টাকি স্কুলে ভর্তির জন্য পাঠিয়েছেন ঠিকই কিন্তু ওই স্কুলে ভর্তির মতো জায়গা না থাকলে তাদের অন্য স্কুলে ভর্তি করার ব্যবস্থা করা হবে। ওই কর্তার কথায়, ‘‘আমরা প্রতিটি ছাত্র ছাত্রীরা কোনও না কোনও স্কুলে ভর্তি সুনিশ্চিত করি। কিন্তু কোন স্কুলে ভর্তি হবে সেটা আগে থেকে নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। টাকিতে জায়গা না থাকলে বাড়ির কাছে অন্য কোনও স্কুলে ওই শিশুদের ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে।’’