রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। —ফাইল চিত্র।
করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা এবং রেশন বিলি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ঘিরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা চেয়ে তাঁকে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর মতে, ‘‘সাংবিধানিক রীতিনীতির প্রতি ধারাবাহিক উপেক্ষা মেনে নেওয়া যায় না। কোনও পরিস্থিতিতেই কেউ নিজেই আইন হয়ে উঠতে পারে না!’’ রেশন ব্যবস্থা নিয়ে তাঁর ক্রমাগত উদ্বেগ ও খোঁজখবরের জেরে রাজ্য শেষ পর্যন্ত ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা’য় বরাদ্দ চাল তুলতে শুরু করেছে বলেও এ দিন দাবি করেছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশিই রেশনের অব্যবস্থা এবং যাবতীয় অভিযোগ নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী ও দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসারও আগ্রহ দেখিয়েছেন।
রেশন ঘিরে রাজ্যপালের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এর আগে মুখ্যসচিব রাজভবনে জবাবি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তার পরে রাজ্যপাল আবার কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের সঙ্গে। রাজ্যপালের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এফসিআই) ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা’র চাল রাজ্যকে দিতে তৈরি। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অবশ্য সোমবার বলেছেন, ‘‘আমরা গোটা সরকার মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বেই লড়াই চালাচ্ছি। আলাদা করে খাদ্য দফতর কিছু করছে না। তবে রাজ্যপাল চাইলে নিশ্চয়ই কথা বলতে পারি।’’ খাদ্যমন্ত্রীর পাল্টা দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের যে চাল-ডালের কথা বলা হচ্ছে, বিজেপি নেতারা খোঁজ নিয়ে দেখুন তার পরিমাণ কী! রাজ্যে সংশ্লিষ্ট মানুষকে দেওয়ার জন্য ৯ লক্ষ মেট্রিক টন চালের প্রয়োজন, কেন্দ্র দিয়েছে ৪৫ হাজার মেট্রিক টন। ডালও দিয়েছে অনেক কম। খাদ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘‘তবে রাজ্যবাসীকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী দিতে আমরা সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছি।’’রেশনে চাল, ডাল বণ্টনে দেরি নিয়ে সিবিআই তদন্ত এবং খাদ্যমন্ত্রীর অপসারণ দাবি করে মুখ্যমন্ত্রীকে এ দিন ফের খোলা চিঠি দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)