রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। — ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ডিজি, মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্টসচিবকে রাজভবনে তলব করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁদের কাছে তিনি ইডি আধিকারিকদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টও চেয়েছেন। এর আগে বিবৃতি দিয়ে রাজ্য প্রশাসনকে দায়ী করেছেন রাজ্যপাল। ‘ফল ভুগতে হবে’ বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। আরও জানিয়েছেন, সংবিধানের অবমাননা করা হলে রাজ্যপাল হিসাবে তিনি উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করবেন।
শুক্রবারই সন্দেশখালির ঘটনা প্রসঙ্গে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন যে, “রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে?” তার পরে পরেই রাজ্য সরকারকে কড়া বার্তা দেন রাজ্যপাল। এর পর রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, মুখ্যসচিব বিপি গোপালিক এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে রাজভবনে তলব করলেন রাজ্যপাল। তাঁদের থেকে ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে হানা দেয় পাঁচ ইডি আধিকারিকের একটি দল। সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীও ছিল। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডেই এই হানা। স্থানীয় সূত্রে খবর, সরবেড়িয়া গ্রামে শাহজাহানের বাড়ির দিকে তাঁরা যাওয়ার চেষ্টা করলেই রুখে দাঁড়ান গ্রামবাসীদের একাংশ। অভিযোগ, তাঁরা শাহজাহানের অনুগামী। ইডি আধিকারিকেরা তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করলেও ভিতর থেকে কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি। এর পরেই তাঁরা দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন। অভিযোগ, সেই সময়েই তাঁদের ঘিরে ফেলে মারধর করা হয়। ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও। এর পর ইডি আধিকারিকদের ধাওয়া করে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা হয়। ভাঙচুর করা হয় তাঁদের গাড়িতে। সেই সময়েই তিন আধিকারিক জখম হয়েছেন বলে খবর। তাঁরা এখন সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনায় রাজ্যপাল এ বার রাজ্য পুলিশের ডিজি, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবকে তলব করলেন।