রাজ্যপালের এমন টুইট রাজ্যের সঙ্গে চলা রাজভবনের দ্বৈরথে নতুন ইন্ধন দিয়েছে বলেই মনে করছে বাংলার রাজনীতির কারবারিরা। গত সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে রাজ্য পরিষদীয় দফতর বাজেট অধিবেশের দিনক্ষণের জন্য সম্মতি চেয়ে রাজ্যপালের কাছে ফাইল পাঠিয়েছিল। কিন্তু রাজ্যপাল টুইট করেই জানিয়ে দেন, অধিবেশন শুরুর জন্য সম্মতি দেওয়া সম্ভব নয়।
এ বার রাজ্যের আর্থিক মঞ্জুরি সংক্রান্ত ফাইল চেয়ে পাঠালেন রাজ্যপাল। প্রতীকী ছবি
এ বার রাজ্যের আর্থিক মঞ্জুরি সংক্রান্ত ফাইল ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মঙ্গলবার নিজের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডলে জোড়া টুইট করে ফাইল ফেরত পাঠানোর কথা জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যপাল লিখেছেন, সরকারের তরফে কোন ক্ষেত্রে কত টাকা খরচ করা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও রাজভবনে পাঠাতে হবে। গত সপ্তাহে বাজেট অধিবেশনের ফাইল পাঠানো নিয়েও বাকযুদ্ধ চলেছিল নবান্ন-রাজভবনের। সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘গভর্নর ফেরত পাঠিয়েছেন ফাইল। আমি নিজে চিফ মিনিস্টার সই করে ফাইল পাঠিয়েছি। বলেছেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত পাশ করিয়ে পাঠাও।’’
মমতা দাবি করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনিই ‘ভয়েস অব দ্য ক্যাবিনেট’। তবুও তিনি শিষ্টাচার মেনে মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে বিষয়টি পাঠিয়েছেন। রাজ্যপালের নাম না করে মমতা বলেছিলেন, ‘‘কয়েকটি মুখ, যাঁদের আমি শ্রদ্ধা করি, অশ্রদ্ধা করি না, অশ্রদ্ধা করা কথাটা আমার রুচিতে বাধে, কোনও কিছু করতে গেলেই বাধাদান করা তাঁদের একটা কাজ। না জেনেই।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমি জানি না, কেন এগুলো করছেন। অকারণে ডিলে (বিলম্ব) করা হচ্ছে।’’
মুখ্যমন্ত্রীর এমন বিবৃতির পরদিনই রাজ্যপাল টুইট করে রাজ্যের সঙ্গে চলা রাজভবনের দ্বৈরথে নতুন ইন্ধন দিয়েছে বলেই মনে করছে বাংলার রাজনীতির কারবারিরা। গত সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে রাজ্য পরিষদীয় দফতর বাজেট অধিবেশের দিনক্ষণের জন্য সম্মতি চেয়ে রাজ্যপালের কাছে ফাইল পাঠিয়েছিল। কিন্তু রাজ্যপাল টুইট করেই জানিয়ে দেন, অধিবেশন শুরুর জন্য সম্মতি দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, সংবিধানের ধারা অনুযায়ী ফাইলটিতে রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন প্রয়োজন রয়েছে। সোমবার ক্যাবিনেটে সেই ফাইল অনুমোদনের পর রাজভবন পাঠানো হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার রাজ্যের আর্থিক মঞ্জুরি সংক্রান্ত ফাইলটির জন্য আর্থিক ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়ে নতুন করে রাজ্য সরকারকে নতুন করে প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন রাজ্যপাল।