গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে টুইট করে ‘স্বজনপোষণের অভিযোগ’ এনেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টুইট করেই তার জবাব দেন ধনখড়। বলেন, মহুয়ার দেওয়া তথ্য ভুল। রাজ্যপালের টুইটের জবাবে ফের টুইট করেছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। কী ভাবে ছ’জন ওএসডি (অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি) রাজভবনে নিযুক্ত হয়েছেন ও তাঁদের অতীত পরিচিতি কী, সেই তথ্য দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার একটি টুইটে ধনখড় লেখেন, ‘মহুয়া মৈত্র টুইট করে ৬ জন ওএসডি-র নিয়োগ ঘিরে স্বজনপোষণের যে অভিযোগ তুলেছেন, তা তথ্যগতভাবে ভুল। তাঁরা তিনটি আলাদা রাজ্যের বাসিন্দা। ৪ ভিন্ন বর্ণের। তাঁদের কেউই আমার নিকট আত্মীয় নন। ৪ জন তো আমার রাজ্যের বাসিন্দাও নন, এমনকি আমার বর্ণেরও নন’।
সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জুড়েও একটি টুইট করেন ধনখড়। সেখানে তিনি লেখেন, ‘রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার উদ্বেগজনক পরিস্থিতি থেকে নজর ঘোরাতেই এই অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে সংবিধান অনুসারে রাজ্যের মানুষের জন্য আমার কাজ আমি করে যাব’।
ধনখড় যতই দাবি করুন ৬ ওএসডি তাঁর পরিচিত বা আত্মীয় নন, মহুয়া নিজের অভিযোগ থেকে সরে আসেননি। কিছুক্ষণ পরেই ফের টুইট করেছেন তিনি। সেখানেও রাজ্যপালকে ‘আঙ্কলজি’ সম্বোধন করে তিনি লিখেছেন, ‘রাজভবনে যাঁদের ওএসডি নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের অতীত পরিচয় কী সেটা এখানে জানাতে অনুরোধ করছি। একই সঙ্গে অনুরোধ করছি এটাও জানাতে, কী ভাবে ওই ৬ জনকে রাজভবনে নিয়োগ করা হল’। কটাক্ষের সুরে তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপি-র আইটি সেল এখান থেকে আপনাকে বার করে আনতে পারবে না। দেশের উপরাষ্ট্রপতির পদও মনে হয় অধরা থেকে গেল’।
বেশ কিছু দিন ধরেই ভোটপরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব রাজ্যপাল। সোমবার তিনি রাজ্যের নতুন মুখ্যসচিবকে তলবও করেছেন রাজভবনে। তার মধ্যেই সামনে এল এই টুইট বিতর্ক।