উপাচার্য বাছাইয়ের অধ্যাদেশে সই করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ফাইল চিত্র।
নতুন পর্যায়ে রাজ্য সরকার ও রাজভবনের মধ্যে সংঘাতের আবহেই রাজ্য সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য বাছাইয়ের জন্য সার্চ বা সন্ধান কমিটি সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্স বা অধ্যাদেশে সই করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। উচ্চশিক্ষা দফতরের খবর, তিনি অধ্যাদেশে সই করেন শুক্রবার।
এর আগেই সন্ধান কমিটি পুনর্গঠন সংক্রান্ত বিষয়ে অধ্যাদেশ প্রণয়নের ব্যাপারে রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়া গিয়েছিল। তার পরে সেটি রাজভবনে পাঠানো হয় রাজ্যপালের স্বাক্ষরের জন্য। অধ্যাদেশ অনুযায়ী উপাচার্য বাছাইয়ের সন্ধান কমিটিতে তিনের বদলে থাকবেন পাঁচ সদস্য। ফিরবে ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিনিধি রাখার ব্যবস্থা। ইউজিসি-র প্রতিনিধি ছাড়াও কমিটিতে থাকবেন রাজ্যপালের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট বা কোর্ট, উচ্চশিক্ষা সংসদ এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা।
রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করার জন্য বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলটি ১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে রাজভবনে আটকে আছে। পূর্ববর্তী রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তাতে সই করেননি। এখনও পর্যন্ত সই করেননি বর্তমান রাজ্যপালও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সকলেই দাবি জানাচ্ছেন, রাজ্যপাল অবিলম্বে ওই বিলে সই করুন। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই রাজ্যপাল বোস ইতিমধ্যে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষা শিবিরে প্রশ্ন ও সংশয় দেখা দিয়েছিল, সন্ধান কমিটি সংক্রান্ত অধ্যাদেশে রাজ্যপাল সই করবেন কি না। শেষ পর্যন্ত তিনি স্বাক্ষর করলেন।
আদালতের রায়ের জেরে রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়েই এখন দায়িত্বে আছেন অস্থায়ী উপাচার্যেরা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই। অস্থায়ী উপাচার্যদের মেয়াদ চলতি মাসের শেষ থেকে জুনের প্রথমার্ধের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। তাই সন্ধান কমিটি গড়ে স্থায়ী উপাচার্য বাছাই করা এই মুহূর্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাজ্যপালের স্বাক্ষরিত অধ্যাদেশ মেনে সেই কাজে আর বাধা রইল না।