Education

রাতারাতি ফার্স্ট বয় অয়নকে সাহায্যের আশ্বাস   

এদিকে জলপাইগুড়ি রেঞ্জের ডিআইজি কল্যাণ মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশে মালবাজার থানার তরফে এ দিন অয়নের পরিবারকে থানায় ডেকে ১০ হাজার টাকা তুলে দেন মালবাজার থানার ওসি শুভাশিস চক্রবর্তী।

Advertisement

সব্যসাচী ঘোষ

মালবাজার শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২০ ০৬:২৯
Share:

প্রতীকী ছবি

খবরটা বেরোতেই রাতারাতি বদলে গেল ছবিটা। মালবাজারের আদর্শ বিদ্যাভবনের ‘ফার্স্ট বয়’ অয়ন সেনের সাহায্যে এগিয়ে এল প্রশাসন, পুরসভা, পুলিশ থেকে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন। এমনকি, বহু মানুষও এই খবর পড়ে অয়নকে সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন। আর এই খবরের প্রতিক্রিয়ায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী শনিবার বলেন, ‘‘এই ছাত্রটি স্বামী বিবেকানন্দ (রাজ্য সরকারের) বৃত্তি পায়। তবে বাড়ির প্রয়োজনে যদি ওকে এই কাজ করতে হয়, সেটা আমরা দেখছি।’’

Advertisement

এ দিন আনন্দবাজার পত্রিকায় এই খবরটি দেখেই সকাল সাড়ে ৮টায় মালবাজারের ঘড়ি মোড়ের আপৎকালীন বাজারে চলে আসেন মালবাজারের পুরপ্রধান স্বপন সাহা এবং মহকুমাশাসক শান্তনু বালা। অয়নকে পুরসভার তরফে প্রতি মাসে এক হাজার টাকার ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন পুরপ্রধান। মহকুমাশাসক অয়নের বাবা দীনেশ সেনকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে অয়নকে বাজার থেকে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। মহকুমাশাসক পরে বলেন, “স্কুলের ফার্স্ট বয় ডিম বিক্রি করছে, খবর দেখেই ছুটে এসেছি। আমরা দ্রুত প্রতিকার করছি।”

এদিকে জলপাইগুড়ি রেঞ্জের ডিআইজি কল্যাণ মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশে মালবাজার থানার তরফে এ দিন অয়নের পরিবারকে থানায় ডেকে ১০ হাজার টাকা তুলে দেন মালবাজার থানার ওসি শুভাশিস চক্রবর্তী। রাজ্যের প্রাক্তন পূর্ত আধিকারিক শ্যামল চৌধুরী এবং তাঁর স্ত্রী অধ্যাপক শোভা চৌধুরী মালবাজারে তাঁদের পরিচিতদের মারফত নগদ ১০ হাজার টাকা অয়নের বাড়িতে পৌঁছে দেন। মালবাজার আদর্শ বিদ্যাভবনের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুশান্ত দত্ত চাল, ডাল মশলা কিনে সাহায্য করেন অয়নকে। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা পর্যবেক্ষক দীপ্তিমান সেনগুপ্তও চাল, ডাল, তেল তুলে দেন। নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির তরফেও চাল, ডাল, মশলা দিয়ে সাহায্য করা হয়। নগদ অর্থ সাহায্যও স্থানীয় অনেকেই করেন। আসানসোল, শিলিগুড়ি, কোচবিহার, ফালাকাটা থেকেও বিভিন্ন সংগঠন অয়নের পরিবারকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: লকডাউন: সংসার টানতে ডিম বেচছে দ্বাদশ শ্রেণির ফার্স্ট বয়, মালবাজারে

দিনভর সাহায্য এবং আশ্বাসের বন্যায় ভেসে আনন্দবাজার পত্রিকাকেই কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে সেন পরিবার। অয়নের বাবা দীনেশ বলেন, “ছেলে যতদূর পড়তে চায় ততদূর ওকে পড়াতে চাই, সেই লক্ষ্যে সকলে আমার পাশে থাকলে আমি নিশ্চিন্ত।”

আরও পড়ুন: ‘চলো নিয়ম মতে’, জনতা শুনছে কই?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement