সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতেই হবে স্বাস্থ্য কেন্দ্র। সোমবার এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা সংসদ। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ, মালদা-সহ বেশ কয়েকটি পিছিয়ে পড়া জেলার ক্ষেত্রে নতুন এই নির্দেশ কার্যকর হতে পারে। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিকে এ বিষয়ে নির্দেশ পাঠানো হয়ে গিয়েছে সূত্রের খবর। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতিটি প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্রের একটি করে ঘর বরাদ্দ করতে হবে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য। ওই ঘরটি বরাদ্দ থাকবে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের নামে। তিনিই প্রাথমিক স্কুলের ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নিয়ন্ত্রণ করবেন। প্রাথমিক স্কুলে থাকা স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ব্লকের উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র হিসেবেই মান্যতা পাবে। যেখানে চিকিৎসা পেতে পারবেন সংশ্লিষ্ট ব্লকের বাসিন্দারা। তবে বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক স্কুলের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে অস্থায়ী বলেই উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে পরিস্থিতিতে স্থানীয় জনতার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে প্রাথমিক স্কুলে স্বাস্থ্য কেন্দ্র চালানোর জন্য কোনওভাবেই পড়াশোনা তথা মিড-ডে-মিল পরিষেবা বন্ধ করা যাবে না। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক স্কুলকে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হলে তবেই সংসদের এই নির্দেশ কার্যকর হবে। তবে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষক সংগঠনগুলি। তাদের কথায়, এতদিন স্কুলগুলি বন্ধ থাকার ফলে পঠন-পাঠনের কাজ ভালোভাবে ছাত্রছাত্রীরা করতে পারেননি। আবার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নামে স্কুলে অযথা ভির বাংলা প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যাহত হতে পারে। তাঁদের আরও অভিযোগ, এমনিতেই প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ক্লাস করানোর ক্ষেত্রে ঘরের অপ্রতুলতার অভিযোগ প্রায়শই ওঠে। এমতাবস্থায় কোনও বিকল্প ব্যবস্থা না করে কিভাবে শিক্ষা সংসদ এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারে?
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেছেন, "স্কুলকে স্বাস্থ্য কেন্দ্র বানানো হচ্ছে। তাহলে স্বাস্থ্য দপ্তর এতদিন কি পরিকাঠামো তৈরি করলো। এটা তো মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের ব্যর্থতা। স্কুলে তাহলে পড়াশোনার পরিবেশ বজায় থাকবে না।"