স্কুলের অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের প্রশংসা করেছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শুক্রবার রাজ্যে নির্বাচন ঘোষণার পরে, শনিবার স্বাস্থ্য-কর্তার প্রশংসায় বিতর্কের রসদ পাচ্ছেন বিরোধীরা।
রামপুরহাট হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্র সুশান্তবাবু এ দিন সেখানে যান বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘‘সরকার স্বাস্থ্য বিষয়ক উন্নয়নমূলক কাজ করছে। রামপুরহাটে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান চালু রয়েছে, সে কথা অনেকেই জানেন না। রামপুরহাটে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল হয়েছে। সরকার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন করেছে।” তখনই অনেককে বলতে শোনা যায়, ‘‘কালই রাজ্যে ভোট ঘোষণা হয়েছে। সেই সময় উনি স্কুলের অনুষ্ঠানে সরকারি কাজের প্রশংসা না করলেই পারতেন।’’ এক ধাপ এগিয়ে ওই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র তথা সিপিএমের বীরভূম জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মন বলেন, ‘‘এ ঘটনা নির্বাচনী বিধিভঙ্গের আওতায় পড়ছে। দরকারে আমরা আইনের সাহায্য নেব।’’
সুশান্তবাবু পরে বলেন, ‘‘সরকারি কর্মী হিসেবে সরকারের কাজ জনতার কাছে তুলে ধরা দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে। এতে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হচ্ছে কি না, জানা নেই।’’ প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে অনুষ্ঠানে ছিলেন রামপুরহাট বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে তিনি মঞ্চে ছিলেন না। তাঁর মন্তব্য, ‘‘সুশান্তবাবু সরকারি কাজ নিয়ে বলেছেন। এটা ওঁর ব্যাপার।’’ রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য প্রথমে বলেন, ‘‘কিছু বলব না।’’ পরে বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য দফতরের কোনও কর্তা এমন মন্তব্য করতে পারেন না।’’