হাঁস-মুরগি পালনে লগ্নি করলে ভর্তুকি

উৎসাহ জোগাতে বিভিন্ন ভাবে ভর্তুকি দেওয়া হবে। কিছু ক্ষেত্রে এককালীন ভর্তুকির পরিমাণ হতে পারে আট লক্ষ টাকা পর্যন্তও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৭ ০৩:৩১
Share:

প্রতীকী ছবি।

ডিমের ঘাটতি আছে রাজ্যে। এই অবস্থায় হাঁস-মুরগি পালন বা পোলট্রি শিল্পের জন্য বিশেষ উৎসাহ প্রকল্প (ইনসেন্টিভ স্কিম) ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। বুধবার এই সিদ্ধান্ত হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। ঠিক হয়েছে, উৎসাহ জোগাতে বিভিন্ন ভাবে ভর্তুকি দেওয়া হবে। কিছু ক্ষেত্রে এককালীন ভর্তুকির পরিমাণ হতে পারে আট লক্ষ টাকা পর্যন্তও।

Advertisement

নবান্নের খবর, এ রাজ্যে ডিম ও হাঁস-মুরগির ছানা উৎপাদনে যে-সব ব্যবসায়ী বিনিয়োগ করবেন, তাঁরাই ইনসেন্টিভ পাবেন। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘রাজ্যে প্রতিদিন প্রায় ১.৭ কোটি ডিম উৎপন্ন হয়। কিন্তু চাহিদা ২.৬ কোটির মতো। চাহিদা মেটাতে ভিন্‌ রাজ্য থেকে প্রতিদিন প্রায় এক লক্ষ ডিম আমদানি করতে হয়।’’ রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের বক্তব্য, উৎসাহ প্রকল্প চালু করে যদি বেকারদের এই শিল্পে আনা যায়, তাতে ডিমের চাহিদা মেটানো যাবে, আবার কর্মসংস্থানও হবে।

মন্ত্রিসভায় এ দিন গৃহীত প্রস্তাবে হয়েছে বলা হয়েছে: ডিম উৎপাদনের জন্য পোলট্রি ফার্ম তৈরি করলে বিদ্যুতের বিল এবং জমি রেজিস্ট্রেশন বাবদ খরচের একটি বড় অংশ ভর্তুকি হিসেবে পাবেন ব্যবসায়ী। এ ছাড়াও প্রতি ১০ হাজার মুরগি বা হাঁস পালনে ফার্ম-পিছু এককালীন আট লক্ষ টাকা ভর্তুকি দেবে সরকার। ‘‘এর আগে প্রতিপালনের জন্য প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতর থেকে গ্রামে গ্রামে হাঁস-মুরগি বিলি করা হয়েছিল। তাতে তেমন ইতিবাচক ফল মেলেনি। তাই এ বার পোলট্রি ফার্মের জন্য উৎসাহ প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে,’’ বলেন নবান্নের এক কর্তা।

Advertisement

রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ পোলট্রি ফেডারেশনের নেতারা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মদন মাইতি এ দিন জানান, এ রাজ্যে এমন একটি প্রকল্পের খুবই প্রয়োজন ছিল। তিনি বলেন, ‘‘ডিম উৎপাদনে পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আমরা ক্রমশই পিছিয়ে প়ড়ছিলাম। এ ধরনের উৎসাহ প্রকল্প চালু হলে এই শিল্পে নতুন নতুন লগ্নি হবে। আমরাও অন্য রাজ্যের সঙ্গে টক্কর দিতে পারব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement