গোয়া সফল বৈঠকের পর রাহুল গাঁধী ও ফরওয়ার্ড পার্টির নেতারা। নিজস্ব চিত্র।
যে দিন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহারাষ্ট্র পৌঁছলেন, সেই দিনই প্রতিবেশী রাজ্য গোয়ায় তৃণমূলের প্রস্তাবিত জোট শরিককে ছিনিয়ে নিল কংগ্রেস। তৃণমূলের প্রস্তাব ফিরিয়ে শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের হাত ধরল ফরওয়ার্ড পার্টি।
মঙ্গলবার গোয়ায় ফরওয়ার্ড পার্টি নেতা বিজয় সরদেশাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। বৈঠকে ছিলেন ফরওয়ার্ড পার্টির বিধায়ক বিনোদ পালিয়েকর ও গোয়ার নির্দল বিধায়ক প্রসাদ গোয়াংকার। বৈঠক শেষে বিজয় ও প্রসাদ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করে দেন।
পরে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে রাহুল গোয়ার নেতাদের সঙ্গে ছবি দিয়ে জোট চিত্র স্পষ্ট করে দেন। সঙ্গে জানিয়ে দেন, ফরওয়ার্ড পার্টি ও তাদের বিধায়কদের সমর্থনে গোয়ায় নিশ্চিত পরিবর্তন আসবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে গোয়ায় বিজেপি-র সঙ্গে সরকারে সামিল হয়েছিল ফরওয়ার্ড পার্টি। কিন্তু সরকার পরিচালনা নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে তাদের মতানৈক্যের জেরে তারা সরকার ছেড়ে বেরিয়ে আসে। মমতা গত অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে গোয়া গিয়ে ফরওয়ার্ড পার্টি-সহ নির্দল বিধায়কদের দলে যোগদানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলেই সূত্রের খবর। তৃণমূলে যোগ না দিলেও তাঁরা ওই বৈঠকে তৃণমূলে সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়ার কথাই জানিয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাহুলের বৈঠকের পর গোয়ার রাজনীতিতে আবারও নতুন সমীকরণ শুরু হল। আর ফরওয়ার্ড পার্টির এমন সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে গোয়ার মাটিতে তৃণমূলকে নতুন জোট শরিকের খোঁজ করতে হবে।
অন্য দিকে সোমবার কলকাতায় আসেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এনসিপি বিধায়ক আলেমাও চার্চিল। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছে বলেই খবর। মঙ্গলবার মু্খ্যমন্ত্রী মুম্বই রওনা হয়ে যাওয়ায় তাঁর যোগদান হয়নি। আগামী ডিসেম্বর মাসে তিনি তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলেই জানা যাচ্ছে। কলকাতা না পানাজিতে, তা এখনও ঠিক হয়নি।