১৯৯৯ সালের লোকসভা ভোটের ফলাফল দেখিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ বিজেপির। গ্রাফিক্স - সনৎ সিংহ
ত্রিপুরায় পুরভোটে বিজেপি জয়ী হয়েছে। আর দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসায় তৃণমূল বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের নৈতিক জয় দেখছে। কিন্তু তাতেও থেমে থাকছে না বিজেপি-তৃণমূলের বিবৃতি, পাল্টা বিবৃতি বা টুইট বনাম পাল্টা টুইটের লড়াই। পুরভোটের ফলাফর প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূল নেত্বত্ব দাবি করতে শুরু করেন, মাত্র তিন মাসের প্রয়াসে ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন তাঁরা। ১৯৯৯ সালের লোকসভার ভোটের পরিসংখ্যান দিয়ে তৃণমূলকে পাল্টা খোঁচা দিলেন ত্রিপুরার বিজেপি নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে ত্রিপুরা পশ্চিম লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রতীকে প্রার্থী হয়েছিলেন সুধীররঞ্জন মজুমদার। সে বার ২৬.৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলেন তিনি। সেই প্রসঙ্গ টেনেই ত্রিপুরায় বিজেপি আক্রমণ করছে তৃণমূলকে। সেই ভোটের পর যে তৃণমূলকে ত্রিপুরার রাজনীতিতে দেখা যায়নি, কটাক্ষের সুরে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ।
নিজের টুইটার হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘যে সব বহিরাগতরা ত্রিপুরায় এসে বলছেন ৩ মাসে ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছন তাঁদের স্মরণ করে দিতে চাই আজ থেকে ২২ বছর আগে তৃণমূল ২৬.৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এর পরেও ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসা তো দূরের কথা, প্রার্থী খুঁজে পায়নি।’ টুইটটির সঙ্গে ১৯৯৯ সালের ত্রিপুরা পশ্চিম লোকসভার ভোটের ফলাফলের একটি তালিকাও দিয়েছেন রতন। কৌশলে আবার তৃণমূলকে ‘বহিরাগতদের দল’ বলেও আক্রমণ করেছেন ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী। তিনি এই টুইটটি করার পরেই তা ভাইরাল হতে শুরু করেছে ত্রিপুরার বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে।
এমন যুক্তির বিপরীতে ত্রিপুরার তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, আসলে মাত্র তিন মাসের প্রচেষ্টায় যে ভাবে তৃণমূল ২০ শতাংশ ভোট পেয়ে উঠে এসেছে, তাতে বিজেপি নেতৃত্বের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। তাই এখন পুরনো তথ্য-পরিসংখ্যান নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রচার করছেন। এই ২০ শতাংশ ভোট ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে আরও বড় আকার নিয়ে যে বিজেপি-কে ধাক্কা দেবে, তা বিজেপি নেতারা বুঝে গিয়েছেন।