Bhupatinagar

আত্মহত্যার ঘটনা সাজাতেই খুনের পর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় প্রেমিকের দেহ! ধৃত প্রেমিকা সহ ৬

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথম দিকে আত্মহত্যা মনে হলেওময়নাতদন্তের পর জানা যায় রঞ্জিতকে মারধরের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। ঘটনাটি যাতে আত্মহত্যা মনে হয়, সে কারণে গায়ে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৫:৩৫
Share:

নিহত রঞ্জিত মণ্ডল। —ফাইল চিত্র

আত্ম্যহত্যা নয়, পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের যুবক রঞ্জিত মণ্ডলকে খুন করেই জ্বালিয়ে দিয়েছিল তাঁর প্রেমিকার পরিবার। ষড়যন্ত্রে সামিল হয়েছিল প্রেমিকা ও দুই বন্ধুও! প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের সকলকে সোমবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

সায়নী মণ্ডলের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল রঞ্জিতের। বিয়েও করতে চেয়েছিলেন রঞ্জিত। কিন্তু অভিযোগ, এর মধ্যেই অন্য একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সায়নী। সব জানার পরেওরঞ্জিত বিয়ের জন্যে তাঁকে চাপ দিতে থাকেন। পুলিশের অনুমান, রঞ্জিতের হাত থেকে রেহাই পেতেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। এ দিন রঞ্জিত খুনে জড়িত থাকার অভিযোগেসায়নী মণ্ডল, তাঁর বাবা মদনমোহন মণ্ডল, মা পরী মণ্ডল এবং ভাই সোমশঙ্কর মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।রঞ্জিতের দুই বন্ধু পবিত্র সিংহ এবং অসিত দাসকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের এ দিন কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হবে।

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথম দিকে আত্মহত্যা মনে হলেওময়নাতদন্তের পর জানা যায় রঞ্জিতকে মারধরের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। ঘটনাটি যাতে আত্মহত্যা মনে হয়, সে কারণে গায়ে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই তথ্য পুলিশের হাতে আসার পরেই প্রেমিকা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। তারাই ঘটনায় জড়িত কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরেই গ্রেফতার করা হল অভিযুক্তদের।

Advertisement

আরও পডু়ন: ‘স্বামীর ইউনিফর্ম-স্টার পরেই স্যালুট জানাব’! সেনায় যোগ দেওয়ার আগে বললেন নিহত মেজরের স্ত্রী

আরও পডু়ন: ফের তথ্যপ্রমাণ চেয়েও মোদীর কাছে ‘শান্তির সুযোগ’ চাইলেন ইমরান

কলকাতায় সোনার দোকানে কাজ করতে রঞ্জিত। কয়েক বার দিল্লিতেও গিয়েছিলেন তিনি। ফিরে এসে সায়নীর সঙ্গে দেখা করতে যান রঞ্জিত। তার পরেই খানজাদাপুর গ্রামের বাসিন্দা রঞ্জিত মণ্ডল ওরফে মিঠুর পোড়া দেহ উদ্ধার হয় উদ্ধার হয় প্রেমিকার বাড়ির সামনে।

সায়নীর দাবি ছিল, তার সঙ্গে রঞ্জিতের প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। যদিও রঞ্জিতের পরিবার দাবি করে, তাঁকে খুন করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে সায়নী রঞ্জিতের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে ছিল। এমন কি তাঁকে টাকাও দেয় রঞ্জিত। কিন্তু সম্প্রতি রঞ্জিতকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে সায়নী। তা নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। এ নিয়ে ভূপতিনগর থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়। তদন্তে নামে পুলিশ। রঞ্জিতের মোবাইল ফোন তাঁর এক বন্ধুর কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই মোবাইল ফোনের সূত্র খবর, তদন্তে বেশ কিছু তথ্য উঠে আসে।

(দুই বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল, পুরুলিয়া, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া সহ দক্ষিণবঙ্গের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা খবর, 'বাংলার' খবর পড়ুন আমাদের রাজ্য বিভাগে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement