Hilsa

Hilsa: গঙ্গা-রূপনারায়ণে আর মিলছে না, হারিয়ে যাচ্ছে মিষ্টি জলের ইলিশ

পদ্মা-মেঘনার মতো নদীর ইলিশ নাগালের বাইরে। অল্প যা আছে, তার দামও আকাশছোঁয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০১:৩৭
Share:

জালে ধরা পড়ছে না ইলিশ।

গঙ্গা ও রূপনারায়ণ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ইলিশ। ভরা বর্ষায় নদীতে জাল ফেললেও দেখা মিলছে না বাঙালির প্রিয় মাছের।

Advertisement

বর্ষার হাওয়া। তার সঙ্গে ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি। জালে ইলিশ পড়ার এটাই সেরা সময়। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরেই রূপনারায়ণে আর ধরা পড়ছে না রুপোলি শস্য। বাংলাদেশের ইলিশ আমদানি বন্ধ। তাই পদ্মা-মেঘনার মতো নদীর ইলিশ নাগালের বাইরে। অল্প যা আছে, তার দামও আকাশছোঁয়া। সব মিলিয়ে সমুদ্রের ইলিশই ভরসা। কিন্তু নদীর ইলিশের যে স্বাদ, তা সমুদ্রের মাছে পাওয়া যায় না। সব মিলিয়ে ভাল ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাঙালি।

কিন্তু কেন হারিয়ে যাচ্ছে গঙ্গা কিংবা রূপনারায়ণের ইলিশ? ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অব অ্যানিম্যাল অ্যান্ড ফিশারিজ সায়েন্স-এর অ্যাকোয়া কালচারের বিভাগীয় প্রধান শিবকিঙ্কর দাস জানান, নদীর মোহনায় যন্ত্রচালিত নৌকা ও ছোট ট্রলার ইলিশ ধরে নিচ্ছে। যার মধ্যে বেশির ভাগই খোকা ইলিশ। তাই বিপরীত স্রোতে মিষ্টি জলে গঙ্গা ও রূপনারায়ণ-সহ বেশ কিছু নদীতে মাছ ঢুকতে পারছে না। তাঁর কথায়, ‘‘এই নদীগুলোর গভীরতা ও জলের স্রোত কমে গিয়েছে। যা ইলিশের গতিপথ রুদ্ধ করছে। এর উপর রয়েছে নদীর মাত্রাতিরিক্ত দূষণ। ফলে এই নদীগুলির মিষ্টি জলে ডিম পাড়তে আসছে না ইলিশের দল। বাংলাদেশ ও মায়ানমারের দিকে চলে যাচ্ছে তাদের ঝাঁক।’’

Advertisement

মিঠুন মাঝি নামে এক মৎস্যজীবী জানান, ডিজেল পুড়িয়ে যন্ত্রচালিত নৌকা নিয়ে গেলেও সামান্য কিছু মাছ পাওয়া যাচ্ছে। তা-ও ছোটো আকারের। ফলে লোকসান হচ্ছে।

মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি সমস্যার কথা মেনে নিয়ে বলেন, ‘‘নদীতে ইলিশ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য মোহনাতে ছোট ইলিশ ধরা আটকানো হচ্ছে। যাঁরা এই কাজ করছেন, ধরা পড়লে তাঁদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে।’’ পাশাপাশি তিনি জানান, বছরে ৬১ দিন ইলিশ মাছ ধরার উপর যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা বাড়িয়ে ১২০ দিন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement