তৃণমূল বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত। ফাইল চিত্র।
প্রতারকদের হাতে পড়ে টাকা খোয়ালেন বিধায়কও। তাঁর বিধানসভার সরকারি অ্যাকাউন্ট থেকে লোপাট হয়ে গেল প্রায় পয়তাল্লিশ হাজার টাকা।
বুধবার বিকেলে রায়গঞ্জে নিজের দলীয় কার্যালয়ে বসে ছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত। হঠাৎ মোবাইলে ফোন আসে। অন্য প্রান্তের ব্যক্তি নিজেকে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আধিকারিক বলে পরিচয় দেন।
মোহিতবাবুর বোন রাধারাণী সেনগুপ্ত বলেন, “ দাদার মোবাইলে ফোন আসার পর ওই ব্যক্তি নতুন এটিএম কার্ড ব্যাঙ্ক থেকে দেওয়া হবে বলে জানান। প্রথমে দাদা কোনও তথ্য দেননি।” কিন্তু তার পর ওই ব্যক্তি মোহিতবাবুর বিধানসভার অ্যাকাউন্ট এবং তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট— দুটির নম্বরই সঠিক বলে দেন। বিধায়কের বোন বলেন, “মোবাইলের ট্রু কলারেও দেখাচ্ছিল ব্যাঙ্কের নাম। অন্য দিকে তথ্যও সব সঠিক বলায় কোনও সন্দেহ করেননি দাদা। ওটিপি আসতেই তিনি সেটা বলে দেন।”
আরও পড়ুন: ভুয়ো কালীপুজোর বিলে চাঁদা আদায়! অভিযুক্ত বর্ধমানের ২ পুলিশ অফিসার
এর পর এক ঘণ্টা পরেই পর পর তিন দফায় প্রায় পয়তাল্লিশ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয় মোহিতবাবুর অ্যাকাউন্ট থেকে। বুধবার বিকেলেই বিধানসভার সেই এটিএম কার্ড ব্লক হয়ে যায়। পরের দিন ব্যাঙ্কে যান বিধায়ক। সেখানে সব জানানোর পর রায়গঞ্জ থানাতেও অভিযোগ জানান তিনি। তবে এখনও কোনও সূত্র পায়নি পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে ভিন রাজ্য থেকে লেনদেন হয়েছে। নিজের অসতর্কতায় টাকা খুইয়ে এখন নিজের কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ— সবাইকে এই ব্যাঙ্ক প্রতারকদের ব্যাপারে সচেতন করছেন মোহিতবাবু।
আরও পড়ুন: ‘নকশালদের খুঁজছি, পেলে রথের চাকায় পিষে দেব’, পাল্টা হুমকি দিলীপের
(এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের সময় মোহিত সেনগুপ্তকে তৃণমূল বিধায়ক বলে লেখা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কংগ্রেস বিধায়ক। এই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত)
(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার খবর এবং বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলায় খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের রাজ্য বিভাগে।)