সুজিত বসু, তাপস রায়, রত্না ঘোষ ও নির্মল মাজি। নিজস্ব চিত্র।
মন্ত্রিসভার রদবদল নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল মঙ্গলবারেই। সুজিত বসুর নামও ছড়িয়ে পড়েছিল। বুধবার তা পাকা হল। সেই সঙ্গেই নতুন মন্ত্রীর তালিকায় নাম উঠল তাপস রায়, নির্মল মাজি এবং রত্না ঘোষেরও। আজ, বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় রাজভবনে শপথ নেবেন চার মন্ত্রী।
নবান্ন সূত্রের খবর, চার জনই হবেন প্রতিমন্ত্রী। তবে তাপস রায় এবং সুজিত বসু স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত। কাকে কোন দফতর দেওয়া হবে বুধবার রাত পর্যন্ত তা স্পষ্ট হয়নি। তবে তৃণমূলের অন্দরে নানা জল্পনা ঘুরছে। বলা হচ্ছে, পুরনোদের দফতর বদলের সম্ভাবনাও প্রবল। সূত্রের খবর, সুজিতবাবু পেতে পারেন দমকল। তাপসবাবু পরিষদীয় দফতর। ওই দফতরের বর্তমান মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নির্মল মাজিকে স্বাস্থ্যে দিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে আইন দফতর দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। আইন দফতর এখন দেখছেন মলয় ঘটক। তাঁর হাতে সে ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্য কারিগরী ও শ্রম দফতর থাকবে। রত্নাকে সমাজকল্যাণ সংক্রান্ত কোনও দফতর দেওয়া হতে পারে। এই দফতর এখন শশী পাঁজার হাতে। তিনি শিক্ষা সংক্রান্ত কোনও দফতর পেতে পারেন বলে আলোচনা চলছে।
অনেকে অবশ্য প্রবীণ মন্ত্রীদের দু’এক জনের দফতরে ঝাঁকুনির কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আলাদা বৈঠকে গুঞ্জন আরও তীব্র হয়েছে। পুরনো প্রথা ফিরিয়ে এনে স্কুল শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা দফতর আলাদা করার ভাবনাও আছে বলে খবর। আলোচনায় আছে পূর্ণেন্দু বসুর হাতে থাকা কারিগরি শিক্ষা দফতরও।
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ইস্তফার পরে দমকল দফতরের ভার দেওয়া হয় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। আবাসনের দায়িত্ব পান পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বিধায়ক সংখ্যার বিচারে রাজ্যে ৪৪ জন মন্ত্রী থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে মন্ত্রীর সংখ্যা ৪০। নতুন চার জনের অন্তর্ভুক্তিতে মন্ত্রিসভায় সদস্য সংখ্যা পূর্ণ হল।
এ দিন তৃণমূল পরিষদীয় দলেও নতুন মুখ এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাপস রায়ের বদলে উপ-মুখ্যসচেতক হচ্ছেন সমীর (বুয়া) চক্রবর্তী। সুজিত বসুর জায়গায় পরিষদীয় দলের সচিব হচ্ছেন পার্থ ভৌমিক।