প্রতীকী ছবি।
সরকারি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক প্রাক্তন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। রত্নাকর দে নামে বোলপুরের ওই বাসিন্দা তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম করে হুমকিও দিয়েছেন বলে অভিযোগ। যদিও রত্নাকরের দাবি, ওই তরুণী তাঁর বিবাহিত স্ত্রী।
সোমবার নদিয়ার হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বছর পঁচিশের ওই তরুণী। তিনি জানিয়েছেন, গত ন’বছর ধরে অর্থাৎ ১৬ বছর বয়স থেকে তাঁকে ধর্ষণ করা হচ্ছে। রত্নাকরের উৎপাতে তাঁরা বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাড়ি ঘুরেহাঁসখালিতে মামার বাড়িতে আত্মগোপন করে ছিলেন। কিন্তু রবিবার রত্নাকরের পাঠানো দু’জন সেখানে এসে হুমকি দিয়ে তাঁকে ফেরত নিয়ে যেতে চায়। রানাঘাট জেলা পুলিশ প্রতারণা ও পকসো আইনে নাবালিকা ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে।
কেতুগ্রাম ১ ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি রত্নাকর দে এক সময়ে অনুব্রত মণ্ডলের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত ছিলেন। পরে নানা কারণে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। বোলপুরে থাকতে শুরু করেন। অভিযোগ, তখনই ওই মেয়েটির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। রাজনীতি থেকে তাঁর দূরত্বও তখন থেকেই। বর্তমানে বছর পঁয়ষট্টির রত্নাকরের স্ত্রী মারা গিয়েছেন। দুই ছেলে রয়েছে। এই তরুণীও তাঁর স্ত্রী দাবি করে রত্নাকর বলেন, ‘‘আমার কাছে থাকতে থাকতেই অন্য এক জনের সঙ্গে পালায় ও। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করি। আমি হারানো স্ত্রীকে খুঁজছি।’’ তবে তরুণীর দাবি, “তিনি আমার থেকে ৪৫ বছরের বড়। তিনি আমাকে কোনও দিন বিয়ে করেননি আর আমিও তাঁর সঙ্গে কোনও দিন ঘর-সংসার করিনি।” তাঁর অভিযোগ, রত্নাকর জোর করে তাঁকে দিয়ে একাধিক সাদা কাগজে ও স্ট্যাম্প পেপারে সই করিয়ে নেন। কাটোয়ার একটি লজে তাঁকে বৌ সাজিয়ে ছবিও তোলেন। তার পর দাবি করেন রেজিস্ট্রি বিয়ে সেরে রেখেছেন।
এ প্রসঙ্গে এ দিন বারবার ফোন করা হলেও অনুব্রত মণ্ডল তা ধরেননি। কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ সাহানেওয়াজ অবশ্য এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘এক সময়ে উনি আমাদের ব্লক সভাপতি ছিলেন। তবে অনেক বছর ওঁর সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ নেই।’’