ফাইল চিত্র।
বিশ্বভারতীর পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশি ছাত্রীর পরে পোলিশ ছাত্র। সিএএ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে সরব হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজ়াইনিং পড়তে আসা আফসারা মিমকে কিছু দিন আগে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল বিদেশ মন্ত্রক। একই কারণে যাদবপুরের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে পড়তে আসা পোলিশ ছাত্রকে কামিল শেদচিনস্কিকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের খবর, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে একটি মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন কামিল। সেই জন্যই তাঁকে এ দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় মিছিলে হেঁটে মাদ্রাজ আইআইটি-র এক জার্মান ছাত্রকে দেশ ছাড়তে হয়েছে। সম্প্রতি সিএএ-বিরোধী পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করায় বিশ্বভারতীর বাংলাদেশি পড়ুয়া আফসারা মিমকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও)। যাদবপুরের তুলনামূলক সাহিত্যের পোলিশ পড়ুয়া কামিলকে এমন নির্দেশ দেওয়া হল কেন, তা জানতে চাওয়া হলে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানান, সংশ্লিষ্ট দফতর সরকারি ভাবে তাঁকে কিছুই জানায়নি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, দেশ ছাড়ার নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার জন্য ইতিমধ্যেই ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসে আবেদন জানিয়েছেন কামিল। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য রবিবার ফোনে বার বার চেষ্টা চালানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল।
আফসারা মিমের মতো কামিলও পড়াশোনার জন্য প্রথমে এসেছিলেন বিশ্বভারতীতেই। তার পরে আসেন যাদবপুরে। এখানে তিনি স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করছিলেন। সামনেই তাঁর ফাইনাল সিমেস্টার। তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক সায়ন্তন দাস বলেন, ‘‘কামিল অত্যন্ত মনোযোগী ছাত্র। সে নিয়মিত ক্লাসে আসত।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ছাত্রছাত্রীদের একাংশের আশঙ্কা, যাদবপুরে পড়াশোনা শেষ করার সুযোগ কামিল আর পাবেন না।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা অরিত্র মজুমদার এ দিন বলেন, ‘‘ওই বিদেশি ছাত্রকে দেশ ছাড়ার যে-নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ করছি। কেন্দ্রীয় সরকার এ ভাবে সিএএ-র বিরুদ্ধে আমাদের মুখ বন্ধ রাখতে পারবে না।’’