Food Department

কৃষকদের থেকে ধান কেনার কাজে গতি আনতে নির্দেশ খাদ্য দফতরের

খাদ্য দফতরের নির্দেশ, অবিলম্বে ধান কেনার জন্য গ্রামগুলিতে অস্থায়ী শিবির খুলতে হবে। চালু করতে হবে ভ্রাম্যমাণ শিবির। দ্রুত এবং বেশি পরিমাণে ধান কিনতে নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৩ ১৪:২৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

রেশন ব্যবস্থা সচল রাখতে রাজ্যের কৃষকদের থেকে সরাসরি ধান কেনার প্রক্রিয়ায় গতি বাড়াল খাদ্য দফতর। রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা সচল রাখতে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকেই ধান কিনতে চেয়েছিল রাজ্য। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার যে ‘ওপেন সেল স্কিমে’ খাদ্য দফতরকে আর ধান বিক্রি করতে রাজি নয়, তা দ্রুতই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর পরেই খাদ্য দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা এ বিষয়ে বৈঠকে বসে অতিরিক্ত ধান কেনার সিদ্ধান্ত নেন।

Advertisement

কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় ধান কেনার কাজ শুরু করেছিল খাদ্য দফতর, তাতে বেশি ধান কেনা সম্ভব হয়নি। তাই সিদ্ধান্ত হয়, এই পরিস্থিতিতে ধান কেনার প্রক্রিয়ায় যুক্ত সরকারি সংস্থাগুলিকে খাদ্য দফতরের নির্দেশ, অবিলম্বে ধান কেনার জন্য গ্রামগুলিতে অস্থায়ী শিবির খুলতে হবে। চালু করতে হবে ভ্রাম্যমাণ শিবির। দ্রুত এবং বেশি পরিমাণে ধান কিনতে নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। চাষিদের আধার নম্বর বায়োমেট্রিক স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে যাচা‌ইয়ের ব্যবস্থা কয়েক মাস আগে চালু করা হয়। প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে এটা করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরই ধান কেনার প্রক্রিয়ার গতি অনেকটা ব্যাহত হয়। সেই গতি বাড়াতেই নিয়মে এই বদল আনা হচ্ছে বলে সরকারি সূত্রে খবর।

আপাতত ঠিক হয়েছে, এক জন চাষির কাছ থেকে ৪৫ কুইন্টালের জায়গায় সর্বোচ্চ মোট ৯০ কুইন্টাল ধান কেনা যাবে। তা ছাড়া, কৃষকের আধার নম্বর বায়োমেট্রিক স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে যাচাই আর বাধ্যতামূলক থাকছে না। খরিফ মরসুমের গোড়ার দিকে যে ভাবে ধান কেনা হচ্ছিল, সে ভাবেই কেনা যাবে। ন্যূনতম সংগ্রহমূল্যে ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ লক্ষ টন ধান সরকার কিনে ফেলেছে। কিন্ত এপ্রিল মাসের পর থেকে এই কাজ কার্যত থমকে ছিল। তাই নতুন পদ্ধতি চালু করে ধান কেনার কাজ শুরু করেছে খাদ্য দফতর।

Advertisement

খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, কিছু বিশেষ কারণে ‘স্ক্যানিং’ বন্ধ রেখেই ধান কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে গোটা কেনাবেচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে খাদ্য দফতরের বিশেষ নজরদারি থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। খাদ্য দফতরের কড়া নির্দেশ, প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকেই যাতে ধান কেনা হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে কৃষকদের বিভিন্ন নথি জমা দিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে হবে এবং অনলাইনে আগাম বুকিং করতে হবে। সরকারি সংস্থাগুলি গ্রামীণ কৃষি সমবায় সংস্থা, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, ফার্মার কোম্পানির মাধ্যমেও শিবির খুলে ধান কেনা হবে। প্রতিটি শিবির অন্তত সাত দিন চালাতে বলা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement