প্রতীকী ছবি।
মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করবে বিদ্যুৎ দফতর। শনিবার পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ পর্ষদের অফিসারদের সংগঠন এবং বণিকসভা ‘মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’ আয়োজিত একটি সভায় এ কথা জানান বিদ্যুৎ দফতরের কমিশনার অনিন্দ্যনারায়ণ বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘সাগরদিঘিতে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রথমে ৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন
সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হবে। তা সফল হলে মুকুটমণিপুরে একই ধরনের ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করা হবে।’’ এলইডি আলো, বায়ুশক্তি থেকে বিদ্যুৎ তৈরির উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে বলে কমিশনার জানান।
বিদ্যুৎ দফতর সূত্রের খবর, জলাশয়ে সৌরশক্তির পাতগুলি ভাসমান অবস্থায় থাকবে। এর ফলে নতুন করে জমির প্রয়োজন হবে না। একটি ফরাসি প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ দেশের একটি সংস্থাই এই কাজ করবে। সাগরদিঘিতে খরচ পড়বে প্রায় ২৮ কোটি টাকা। বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, ২০১১ সালে রাজ্য সরকারি ভাবে ২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি হত। এখন তা ৭০ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে।
মন্ত্রী জানান, দূষণ ঠেকাতে পুরনো তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। একটি বিদেশি সংস্থার সঙ্গে কথা চলছে। সেই প্রযুক্তির ফলে পুরনো তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে কার্বন কণা, সালফার ও নাইট্রোজেন যৌগ, ছাই বাইরে এসে পরিবেশে মিশবে না। ব্যান্ডেল কেন্দ্রে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। কোলাঘাট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ ও ৩ নম্বর চুল্লিতে ইতিমধ্যেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির বিরুদ্ধে এই দূষণের বিরুদ্ধেই সরব পরিবেশকর্মীরা।