দুর্গাপুরের অন্ডাল থেকে উড়ান লাভজনক হবে কি না, সেই প্রশ্ন ও সংশয়ের সু রাহা হয়নি। এই অবস্থায় চলতি ফেব্রুয়ারিতেই উড়ান চালু হচ্ছে কলকাতা-অন্ডাল রুটে।
কেন্দ্র যতই ভর্তুকি দিক, দিনে গড়ে অন্তত ১১টি টিকিট বিক্রি না-হলে যে উড়ান চালাতে লোকসান হবে, কলকাতা-অন্ডাল রুটে উড়ানের বরাত পাওয়া ডেকান এয়ার তা জানিয়ে দিয়েছে। কেন্দ্রের আগে রাজ্য সরকারও টিকিটের উপরে ভর্তুকি দিয়েছে। তাতেও অন্ডাল থেকে উড়ান চালিয়ে লাভ করতে না-পেরে কয়েক মাসের মধ্যে উড়ান তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া।
ঘোষণা অনুযায়ী অন্ডাল থেকে যারা উড়ান চালাবে, তাদের কাছ থেকে ল্যান্ডিং-পার্কিং ফি নেওয়া হবে না। নেওয়া হবে না জ্বালানির উপরে রাজ্যের করও। ফলে অন্ডাল থেকে রাজ্যের কোনও লাভ হবে না। অন্ডাল বিমানবন্দরে নিজেদের অংশীদারি ১১ থেকে ২৬ শতাংশ বাড়িয়ে আরও ২৭০ কোটি টাকা ঢেলেছে রাজ্য সরকার। আঞ্চলিক উড়ান প্রকল্পে ছোট শহর থেকে উড়ান চালানোর কেন্দ্রীয় উদ্যোগে একটি সংস্থাকেই ভর্তুকি দেওয়া হবে। সেই ভর্তুকিতে রাজ্যেরও ২০ শতাংশ থাকবে। ফলে সেখানেও লোকসান রাজ্যের।
লোকসানে চলছে অন্ডাল বিমানবন্দরও। সেখানে লাইসেন্স টিকিয়ে রাখার জন্য নিয়মিত এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল চালু রাখতে বছরে কয়েক কোটি টাকা গুনতে হচ্ছে বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষকে। এই অবস্থায় ডেকান ১৯ আসনের বিমান চালু করলে রাজ্যের, অন্ডাল বিমানবন্দরের এবং সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থা ডেকানের কতটা লাভ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্পাইসজেট, এয়ার ইন্ডিয়া ঘোষণা করেছে, তারাও অন্ডাল থেকে উড়ান চালাবে। যদিও তাদের কারও ভর্তুকি পাওয়ার কথা নয়। তার উপরে ডেকান ১৯ আসনের বিমান আনছে। এয়ার ইন্ডিয়ার চালানোর কথা ১৪৪ আসনের এয়ারবাস এবং স্পাইসজেটের ৭৮ আসনের বম্বার্ডিয়ার। ফলে তাদের আরও বেশি লোকসান হওয়ার আশঙ্কা।
ডেকান এয়ারের কর্তা ক্যাপ্টেন জি আর গোপীনাথ সোমবার জানান, দিন সাতেকের মধ্যে তাঁদের ১৯ আসনের দু’টি বিচক্র্যাফ্ট বিমান কলকাতায় আসছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম পর্যায়ে কলকাতা থেকে জামশেদপুর উড়ান চালু হবে। কলকাতা থেকে শিলং হয়ে আগরতলা উড়ানও চালু হবে সে-দিনই। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে চালু হবে অন্ডাল, রৌরকেলা, কোচবিহার, বাগডোগরা এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্য শহরের উড়ান। তবে এ রাজ্যের অন্ডাল ও কোচবিহার থেকে নিয়মিত বিমান চালিয়ে কতটা লাভ হবে, সন্দিহান বিমান সংস্থাগুলি।