প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ইসিআরপি-২ ফান্ড ম্যানেজমেন্ট অব কোভিড-১৯ পেশেন্ট’-এর আর্থিক সহায়তায় রাজ্য জুড়ে ১৩৩টি হাসপাতালে স্থায়ী কোভিড ওয়ার্ড গড়তে প্রায় ৩০৭ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা খরচ করছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। গত বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল হেলথ মিশনের রাজ্যের প্রোগ্রাম অফিসার এ বিষয়ে জেলায় জেলায় নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন। স্থায়ী কোভিড ইউনিট করার জন্য প্রশাসনিক অনুমোদনের পাশাপাশি অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। দ্রুত পূর্ত দফতরকে দিয়ে সে সব কাজ করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।
কোভিড রোগী কমে যাওয়ার সময়ে এমন কোভিড ওয়ার্ড কেন? মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি অমিয়কুমার বেরা বলছেন, ‘‘কোভিড ইউনিট গড়ার ফলে হাসপাতালগুলির পরিকাঠামোর উন্নয়ন হবে। কোভিড রোগী না থাকলেও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসার জন্য সেই পরিকাঠামো কাজে লাগানো যাবে।’’
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে রাজ্যের ১৬টি হাসপাতালে ১০০ শয্যার কোভিড ওয়ার্ড তৈরি করা হবে। সেই তালিকায় পূর্ব বর্ধমানের ৩টি, পূর্ব মেদিনীপুর ও হুগলি ২টি করে, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, মালদহ, উত্তর ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে একটি করে হাসপাতাল রয়েছে। এ ছাড়া রাজ্যের ৪টি হাসপাতাল ৫০ শয্যার কোভিড ওয়ার্ড করা হবে। কোচবিহার, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের বহরমপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৫০ শয্যার স্থায়ী কোভিড ইউনিট গড়া হচ্ছে। এ ছাড়া রাজ্যের ১১৩টি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা গ্রামীণ হাসপাতালে ২০ শয্যার স্থায়ী কোভিড ওয়ার্ড করা হবে। মুর্শিদাবাদে ৯ টি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গ্রামীণ হাসপাতালে ২০ শয্যার স্থায়ী কোভিড ইউনিট গড়া হবে।